২৬ জানুয়ারি রোববার এস্টোরিয়াস্থ ‘জালালাবাদ ভবনে’ সংগঠনের সাধারণ সদস্যদের ব্যাপক অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানীত সদস্য, কার্যকরী কমিটির কর্মকর্তাসহ সাধারণ সদস্যরা। সংগঠনের সভাপতি মইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুল গনী আসাদের পরিচালনায় এই সাধারণ সভায় মঞ্চে আসীন ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি সৈয়দ শওকত আলী, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েনের ট্রাস্টি সৈয়দ জুবায়ের আলী, বিয়ানীবাজার সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন কপিল, সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান সাবু, নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমিনুল হক চুন্নু, সংগঠনের সাবেক সভাপতি শাহীন কামালী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট সোসাইটির সভাপতি ফজলুর রহমান।

Screenshot
সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং দোয়া পরিচালনা করেছেন মাওলানা সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী। পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন অ্যাডভোকেট জয়জিৎ আচার্য।

Screenshot
সাধারণ সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেছেন সাধারণ সম্পাদক আসাদুল গনি আসাদ। প্রতিবেদনে আগামী দিনের উল্লেখযোগ্য কর্মপরিকল্পনাও তুলে ধরেন। এরমধ্যে রয়েছে- পিঠা উৎসব, মহান একুশ পালন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন, ইফতার মাহফিল, মাদকবিরোধী এবং নাশকতাবিরোধী সেমিনার, হাউজিং অ্যাসিস্ট্যান্ট, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, জালালাবাদবাসীদের মিলনমেলার আয়োজন এবং স্কুল ও কলেজ পড়–য়া সন্তানদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা।

Screenshot
সভায় আতাউল গণি আসাদ জানান, অনেক ষড়যন্ত্র ও মামলা মোকদ্দমার সম্মুখীন হওয়ার পরও ‘জালালাবাদ ভবন’ এখনো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালে ভবনের জন্য ১২টি কিস্তি মর্টগেজ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে। সময় এসেছে ভবন ঋণমুক্ত করার। তাই প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

Screenshot
মায়ের মৃত্যুতে বাংলাদেশে অবস্থান করায় কোষাধ্যক্ষ মঈনুজ্জামান চৌধুরীর প্রতিবেদনও পেশ করেছেন সাধারণ সম্পাদক। আর্থিক প্রতিবেদনে সংগঠনের আয় ও ব্যয়ের হিসাব সমন্বয় করে বর্তমানে ২২ হাজার ২৬৭ ডলার ব্যাংক হিসাবে গচ্ছিত আছে বলে জানানো হয়। উপস্থিত সদস্যরা কয়েকটি প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার পর উভয় রিপোর্ট অনুমোদন করেছেন।

Screenshot
সভাপতি মইনুল ইসলাম উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমরা অনেক লাভজনক অবস্থায় রয়েছি। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত না থাকলে আরো ভালো কাজ করতে পারতাম। ষড়যন্ত্র সামলাবো না কাজ করবো। তবে আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই এটা জালালাবাদবাসীর ভবন- এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেও লাভ হবে না।

Screenshot
তিনি বলেন,জালালাবাদ ভবনটি লেন্ডারের কাছ থেকে কিনে নেয়ার জন্য আমরা ২০০ টি শেয়ার বিক্রয় করার প্ল্যান করেছি। ৩৫০০ ডলার মুল্যের ১০০ টি শেয়ার কার্যকরী সদস্যরা ক্রয় করবেন। সাধারণ সদস্যদের জন্য বাকি ১০০টি শেয়ার দ্রুততম সময়ে বিতরণ করা হবে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে ১০ শতাংশ লভ্যাংশসহ এই অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। এই শেয়ার ক্রয়ে তারা জালালাবাদবাসীর প্রতি আহবান জানান।

Screenshot
ভবনকে লোন মুক্ত করতে সাধারণ সভায় জালালাবাদ ফান্ড ইনক নামে আলাদা করপোরেশন করা এবং ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন সভাপতি মইনুল ইসলাম। এই কমিটির সদস্যরা হলেন: মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিলাল চৌধুরী এবং আব্দুল চৌধুরী ওমেল।

Screenshot
এস্টােরিয়ার মতো জায়গায় ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতেও এই ভবনের ম‚ল্য দ্রæত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি জালালাবাদবাসীদের অন্তরে জায়গা করে নেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Screenshot
মঞ্চে উপবিস্ট অতিথিবৃন্দ ছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন দুরুদ মিয়া রনেল, রয়েছ আহমদ, খলিলুর রহমান খলিল, রিয়াজি,মো: শাহাবুদ্দিন, হুমায়ুন আহমেদ, ইয়ামিন রশীদ, নজিবুর রহমান, গৌস খান, জাবেদ খসরু, মখন মিয়া, বদরুল মহসিন, নজরুল ইসলাম, এনায়েত হোসেন জালাল, আব্দুল আহাদ প্রমুখ।