যে কোনও সব্জি উপকারী, কিন্তু তার পুষ্টিগুণ নির্ভর করে রান্নার কৌশলের উপর। কী ভাবে খেলে শাক এবং সব্জির পুষ্টিগুণ ঠিকঠাক পাওয়া যাবে, জানাচ্ছেন যাপন সহায়িকা।
শরীর সুস্থ রাখতে গেলে যে কোনও খাবার নয়, খেতে হবে পুষ্টিগুণ জেনে এবং নিয়ম মেনে, পরামর্শ দেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা। যে সব্জি বেছে নিন না কেন, প্রতিটিরই কমবেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে। এক এক সব্জি এক এক কাজের। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, স্বাস্থ্যকর খাবারও অস্বাস্থ্যকর হতে পারে খাওয়ার ভুলে। রান্নার দোষে।
মেথি কিংবা পালং শাক, মশলা দিয়ে, প্রচুর মাখন এবং ক্রিম ঢেলে সুস্বাদু করে বানালেন ঠিকই, কিন্তু উচ্চ তাপমাত্রায় তার পুষ্টিগুণই কমে যাবে। তার পর যথেচ্ছ মাখন, ক্রিমের ব্যবহারে সেই খাবারে বাড়তি ক্যালোরি যোগ হবে। সুতরাং সুস্থ থাকতে বা ওজন কমাতে যেটি খাচ্ছেন, সেটি কী ভাবে খাবেন তা না জানলে পুষ্টিগুণ শরীর পর্যন্ত যাবে না।
স্বাস্থ্য, পুষ্টি নিয়ে দীর্ঘ দিন কাজ করছেন মুম্বইয়ের ডিম্পল জাংরা। যাপন এবং পুষ্টি সংক্রান্ত বইয়ের লেখিকা ইনস্টাগ্রামে পরামর্শ দিয়েছেন, কোন সব্জি কী ভাবে খেলে উপকার মিলবে।
কুমড়ো: বারোমাসের সব্জি এটি। প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম, ফসফরাসে সমৃদ্ধ সব্জিটি শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। কুমড়োর বীজে মেলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই সব্জিটি খুবই ভাল। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং ওজন কমাতে এটি অত্যন্ত কার্যকর। কুমড়োর পুষ্টিগুণ পাওয়ার ভাল উপায় স্যুপ করে খাওয়া। উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে পারেন গোলমরিচের গুঁড়ো।
ধনেপাতা: ভিটামিন এ, সি এবং কে সমৃদ্ধ ধনেপাতা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করতেও সাহায্য করে। ধনেপাতার চাটনিতে যথেষ্ট পুষ্টিগুণ মেলে।
মেথিপাতা: ফাইবার, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন এ, সি, বি ৬-এ ভরপুর মেথিপাতা ডায়াবেটিকদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে বেশি করে তেল দিয়ে, কষিয়ে রান্না নয়, টাটকা মেথিপাতা দিয়ে রুটি বা অল্প তেলে পরোটা করলেই শাকের উপকার বেশি মিলবে। অল্প তেলে মেথিপাতার তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়।
পালংশাক: আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন এ, সি-তে ভরপুর পালংশাক রক্তাল্পতার রোগীদের জন্য ভাল। এতে থাকা ফাইবার পেট পরিষ্কারে সাহায্য করে। হার্ট এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও শাকটি উপকারী। তবে ডিম্পল সতর্ক করছেন, কাঁচা পালংশাক খাওয়া বা রস করে খাওয়া ঠিক নয়। এতে পেটের অসুখ হতে পারে। বদলে পালংশাক গরম জলে ভাপিয়ে খেতে বলছেন তিনি। স্যুপে দিয়েও খাওয়া যাবে।
ক্যাপসিকাম: ভিটামিন সি-তে ভরপুর ক্যাপসিকাম অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সব্জিটি সহায়ক। স্যুপ করে বা তরকারি হিসাবে এটি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডিম্পল।