মিথ্যা তথ্য ও জাল নথি ব্যবহার করে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘অভ্যন্তরীণ দুর্বৃত্তদের কবল থেকে আমেরিকানদের রক্ষা’ শীর্ষক নির্বাহী আদেশ জারির পর থেকে এই অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৪৫ হাজার গ্রিনকার্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের নিকটস্থ ইমিগ্রেশন অফিসে হাজির হতে নোটিস (Notice to Appear–NTA) পাঠানো হয়েছে। এসবের মধ্যে বেশ কিছু বাংলাদেশিও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজনৈতিক আশ্রয় বা অন্য কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য জমা দেওয়া তথ্য ও উপাত্তে অসঙ্গতি বা সন্দেহজনক তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট গ্রীনকার্ডধারীকে এনটিএ পাঠানো হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়া, মিশিগান, টেক্সাস, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, কানেকটিকাট, নিউইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, ওহাইও, আলাবামা ও ম্যাসাচুসেটসসহ বিভিন্ন স্টেট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১ হাজারের বেশী গ্রীনকার্ডধারীকে এনটিএ পাঠানো হচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি নোটিস টগ এপিয়া রপেয়েছেন মেক্সিকো, ভেনেজুয়েলা ও মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর নাগরিকরা, যারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দলে দলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে রাজনৈতিক আশ্রয় ও ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছিলেন। এখন তারা নাগরিকত্বের আবেদন করলে তাদের তথ্য পুনরায় যাচাই করা হচ্ছে।
ইমিগ্রেশ্যান সুবিধার যেকোন আবেদনে প্রদত্ত জাল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রমাণিত হলে গ্রিনকার্ড বাতিল এবং বহিষ্কারাদেশ কার্যকর করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইএসসিআইএস।