গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং হাইড্রোকার্বন খাতে পাকিস্তানের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ‘উন্মুখ’ আমেরিকা! পাক স্বাধীনতা দিবসে এমনটাই ঘোষণা করলেন মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো।
বৃহস্পতিবার, ১৪ অগস্ট, পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে শাহবাজ শরিফের সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব। পাশাপাশি, বিদেশ দফতরের জারি করা বিবৃতিতে রুবিয়ো দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং তার গুরুত্বও তুলে ধরেছেন। রুবিয়ো বলেন, ‘‘১৪ অগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। এ জন্য আমেরিকার পক্ষ থেকে তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। সন্ত্রাসবাদ দমন এবং বাণিজ্যের মতো দিকগুলিতে পাকিস্তানের বিভিন্ন সহযোগিতার জন্য আমেরিকা গভীর ভাবে কৃতজ্ঞ। শুধু তা-ই নয়, অদূর ভবিষ্যতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং হাইড্রোকার্বন-সহ বিভিন্ন খাতে পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্যও উন্মুখ। এতে আমেরিকা ও পাকিস্তান— উভয়েরই ভবিষ্যত আরও সমৃদ্ধ হবে।’’ রুবিয়ো জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের কথাও ভাবছে আমেরিকা।
পাকিস্তানের খনি ও খনিজ খাতে, বিশেষত পরিশোধিত তামার রফতানিতেও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করতে পারে আমেরিকা। সাম্প্রতিক দ্বিপাক্ষিক শুল্কচুক্তির পর এমনটাই আশা করছে পাকিস্তান সরকার। রবিবারই জাতীয় পরিষদে একটি রিপোর্ট জমা দিয়ে পাক বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান জানিয়েছেন, পারস্পরিক শুল্ক নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার সময় পরিশোধিত তামা-সহ অন্যান্য খনিজ পদার্থে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে মার্কিন মুলুক। কামালের দাবি, আগে পাকিস্তান থেকে তামা, লোহা, ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানির উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল আমেরিকা। কিন্তু পরে পরিশোধিত তামা এই শুল্কবাণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একে ‘ইঙ্গিতবহ’ বলেই মনে করছে পাকিস্তান। বর্তমানে পাকিস্তান মূলত চিনে অপরিশোধিত তামার আকরিক রফতানি করে। আমেরিকা, ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার মতো লাভজনক বাজারে এখনও প্রবেশ করতে পারেনি ভারতের প্রতিবেশী এই দেশ। তবে অনেকেই মনে করছেন, মার্কিন মুলুকের বিনিয়োগ এবং সহায়তা পেলে এই পরিস্থিতি বদলাবে।