বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) গ্রহণ করলে প্রবাসী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রেয়াজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের মাননীয় কন্সাল জেনারেল মোজাম্মল হক। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের এনআইডির মাধ্যমে ১৪২ টি সেবা পাওয়া যেত পারে। তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশীপাসপোর্টটি শুধু একটি সেবা (যাতায়াত) পাওয়া যায়, তাও আবার যাদের যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট রয়েছে তাদের বাংলাদেশের পাসপোর্টের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই।
গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হইটসের নবান্ন পার্টি হলে বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে কনস্যুলেট জেনারেল অব বাংলাদেশ নিউইয়র্ক সহযোগিতায় প্রবাসীদের ভোটাধিকার ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র আবেদন ও প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র – এনআইডি কার্যক্রম প্রক্রিয়া অবশেষে শুরু হয়েছে।
মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেছেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম এবং সভাটি সঞ্চালনা করেছেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী।
সভায় বাংলাদেশ সোসাইটি’র কার্যকরী কমিটি কর্মকর্তা এবং বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ, বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য আজিমুর রহমান বুরহান ও আতোয়ারুল আলমসহ অধিকাংশ ট্রাস্টি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোজাম্মেল হক বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী এবং যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী তাদের সন্তানের বয়স ১৮ বছর হলে এনআইডি কার্ড পাবেন। এনআইডির জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় হচ্ছে, বাংলাদেশের সরকারী ভাবে ইস্যু করা জন্ম সনদ, মেয়াদ আছে কিংবা মেয়াদ উত্তীর্ণ বাংলাদেশের পাসপোর্ট, নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে পুরণ করা এনআইডি আবেদন পত্র, ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও বায়োমেট্রিকস এর জন্য কনসুলেটের এপয়েন্টমেন্ট। কন্সাল জেনারেল আরো বলেন শুরুতে তাঁরা দিনে ১৫টির মত আবেদন প্রসেস করলেও বর্তমানে দিনে গড়ে ৭০-৭৫টি আবেদন প্রসেস করা সম্ভব। প্রয়োজনে উইকএন্ড এবং অন্যান্য ছুটির দিনেও প্রবাসীদের জন্য এনআইডি সেবা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলেরও তিনি জানান। তবে যারা আসন্ন নির্বাচনে ভোট প্রদান করতর চান তাঁদের আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যৈ এনআইডি ও ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়ার কাজ সম্পন্ন করতে হবে ।