গত ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম মোবারককে কেন্দ্র করে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) অর্গানাইজিং কমিটি অব নর্থ আমেরিকা’ প্রতি বছরের মত এবারো পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) ও চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান আয়োজন করেছে। গত ২০১৪ সাল থেকে এই মিলাদুন্নবী মাহফিল উদ্যাপিত হয়ে আসছে।
জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি সেন্টার ও রেস্টুরেন্টে গত ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার বাদ আছর থেকে শুরু হয় ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিল ও মেজবান (নৈশভোজ) আয়োজন।
বিপুলসংখ্যক প্রবাসীরা মেজবানে অংশ নিয়ে তবারক গ্রহণ করেছেন। এবারের ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন আওলাদে রাসুল (সাঃ) ও বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা ড. সাইয়িদ এরশাদ আহম্মেদ আল বোখারী। বিশৈষ অতিথি ছিলেন জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসাসিয়েশানের (জেবিবিএ) প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেবিবিএ’র কোষাধ্যক্ষ,কর্ণফুলি ট্রাভেল্স’র স্বত্তাধিকারী ও ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) অর্গানাইজিং কমিটি অব নর্থ আমেরিকার সদস্য সচিব মোহাম্মদ সেলিম (হারুন) ও কনভেনর আলী আকবর বাপ্পী। মিলাদ মাহফিলে আল-কোরআন একাডেমির কয়েকজন নতুন হাফেজ ও শিশু শিক্ষার্থীরা নাত পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাসুল প্রেমিক মুসুল্লীরা অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দুত, প্রিয়নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা শুনেছেন এবং আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। ড. সাইয়িদ এরশাদ আহম্মেদ আল বোখারি মহানবী (সাঃ)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। তিনি আরো বলেন, মহানবী (সাঃ)-এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। মহানবীর আদর্শ অনুসরণে মুসলমানদের কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত।বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী, যুদ্ধ-বিগ্রহ নানামুখী সমস্যায় মহানবীর শিক্ষা ও ইবাদত বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে। এদিকে, অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের ঐহিত্যবাহী মেজবানে বাংলাদেশি কমিউনিটির সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্বকারী লোকজনও ছিলেন।
অনুষ্ঠানে চট্টলা প্রবাসীরা এসেছিলেন সপরিবারে। মেজবানে তাদের অ্যাপ্যায়ন করা হয়, গরম ভাতের সঙ্গে গরু, খাশি, মুরগী এবং লাউ-ডালের তরকারি। প্রবাসী চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ তাদের আপ্যায়ন করেন। আয়োজক মোহাম্মদ সেলিম হারুণ এবং আলী আকবর বাপ্পী জানান, বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রায় ৩ হাজার মানুষ মেজবানে অংশ নেন। সকল ভেদাভেদ ভুলে এবং দলমত নির্বিশেষে প্রবাসী চট্টগ্রামবাসী ছাড়াও কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ মেজবানে অংশ নেন।
পরিশেষে ‘ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) অর্গানাইজিং কমিটি অব নর্থ আমেরিকা’র পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়েই এই মাহফিলের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠানে পর্দা সহকারে বিপুল সংখ্যক মহিলারাও যোগদান করেন। -ছবি পরিচয়