নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মনসুর খান স্মরণে দোয়া মাহফিল ও জ্যামাইকায় খানস’ টিউটোরিয়ালের ৯ম শাখার উদ্বোধন

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ০৫:৩১ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ০৫:৩১ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
মনসুর খান স্মরণে দোয়া মাহফিল ও জ্যামাইকায় খানস’ টিউটোরিয়ালের ৯ম শাখার উদ্বোধন

কম্যুনিটির সর্ববৃহত্‌ খান’স টিউটোরিয়ালের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শিক্ষক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. মনসুর খানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে হিলসাইডের পারসন্স বুলেবার্ডে খান’স টিউটোরিয়ালে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। গত শনিবার ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এই বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মির্জা আবু জাফর বেগ।

উক্ত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, বর্তমান সিনিয়র সহ সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, জ্যামাইকার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আহসান হাবীব, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ফকরুল ইসলাম দেলোয়ার, খামার বাড়ী গ্রুপের মোহাম্মদ কামরুজ্জামান কামরুল, সারোয়ার চৌধুরীসিপিএ , চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী মাকসুদ এইচ চৌধুরী প্রমুখ। এসময় কমিউনিটির সদস্য, শিক্ষার্থী, পরিবার এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ড. মনসুর খানের জীবনী এবং খান’স টিউটোরিয়ালের ক্রমবর্ধমান সাফল্য তুলে ধরে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

এই অনুষ্ঠানে সিটির বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন শত শত শিক্ষার্থীরও জন্যেও দোয়া করা হয়। খান’স টিউটোরিয়াল দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষন দিয়ে সহায়তা করে আসছে।

ড.মনসুর খান এবং তাঁর স্ত্রী মিসেস নাঈমা খান তিন দশকেরও বেশি পুর্বে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত ছাত্রছাত্রীদের সিটির স্পেশালাইজড হাইস্কুলসমুহে ভর্তির সুযোগ সৃষ্টির নিমিত্ত প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানে খান’স টিউটোরিয়াল প্রতিষ্ঠা করেন।

অনুষ্ঠানে মিসেস নাঈমা খান বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল সুবিধাবঞ্চিত বিশেষ করে অভিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য সর্বনিম্ন খরচে উচ্চমানের শিক্ষায় সহায়তা প্রদান। আজও খান’স টিউটোরিয়াল সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মান জানিয়ে এর সেবাগুলোকে সম্প্রসারণ করে চলেছে এবং শিক্ষার্থীদের পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জনে সহায়তা করে যাচ্ছে।

খান’স টিউটোরিয়ালের প্রধান নির্বাহী ডা. ইভান খান বলেন, আমরা যখন আমার প্রয়াত বাবার স্মরণে একত্রিত হই, তখন আমি তাঁর অবিরাম প্রচেষ্টার কথা স্মরণ করি, যা শিক্ষার্থীদের তাদের স্বপ্ন প‚রণে সহায়তা করেছে। আমার বাবা বিশ্বাস করতেন যে, প্রতিটি শিশুকে সফল হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। আমরা আমাদের সুবিধাগুলো স¤প্রসারণের মাধ্যমে সেই মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।গড়ে তুলেছি বিভিন্ন ব্রাঞ্চ। অনুষ্ঠানে খান’স টিউটোরিয়ালের (৯ম শাখা) হিলসাইডের পারসন্স শাখার উদ্বোধন করা হয়। যা পূর্বের চেয়ে বেশি শিক্ষার্থীকে সহায়তা প্রদান করবে এবং আরও উন্নত পরীক্ষার প্রস্তুতি, শিক্ষার উৎকর্ষতা এবং প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটবে।

শেয়ার করুন