১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশ

বিআরআইয়ের মাধ্যমে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে বললেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

বিআরআইয়ের মাধ্যমে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে বললেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করেছেন। শনিবার (৪ অক্টোবর) ঢাকায় চীনা দূতাবাস থেকে জানানো হয়, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন পারস্পরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করেন।

অভিনন্দন বার্তায় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, “বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মাধ্যমে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের রাজনৈতিক আস্থা দৃঢ় হয়েছে, পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সহযোগিতা প্রসারিত হয়েছে এবং ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে গত ৫০ বছরে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিবর্তন সত্ত্বেও দুই দেশ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ নীতির ভিত্তিতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা ও পারস্পরিক মুনাফার সম্পর্ক গড়ে তুলেছে—যা দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার এক অনন্য উদাহরণ।”

চীনের প্রেসিডেন্ট আরও যোগ করেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে চীন অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আমি রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী—যাতে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব আরও গভীর হয়, পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার হয় এবং অভিন্ন উন্নয়নের লক্ষ্যে দুই দেশের জনগণের কল্যাণে অবদান রাখা যায়।”

অন্যদিকে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তাঁর বার্তায় বলেন, “গত ৫০ বছরে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। স্থায়ী সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের জনগণ বাস্তব উপকার পেয়েছে।”

রাষ্ট্রপতি আরও উল্লেখ করেন, “আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অভিন্ন সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে চীনের দীর্ঘমেয়াদি সহায়তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে।”