ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া প্রস্তাবের বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করেছে আরব দেশগুলো। তাদের এ উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এ তথ্য জানান। এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘গাজা ফিলিস্তিনি জনগণের অন্তর্গত এবং এটি ফিলিস্তিনি ভূখ-ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে গাজার অবস্থান পরিবর্তন করলে শান্তি আসবে না। বরং নতুন অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে।’
চীনকে শান্তি প্রচেষ্টার অংশীদার দাবি করে ওয়াং ই বলেন, গাজায় একটি স্থায়ী ও ব্যাপক যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা জরুরি। সেই সঙ্গে মানবিক সহায়তাও বৃদ্ধি করা দরকার। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবাইকে ‘ফিলিস্তিনিদের দ্বারা ফিলিস্তিন শাসনের’ নীতি অনুসরণ করতে হবে। গাজা পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও অবদান রাখতে হবে। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে মতামত দিয়ে ওয়াং ই বলেন, ফিলিস্তিনি ইস্যু মধ্যপ্রাচ্য সংকটের মূল কেন্দ্রবিন্দু। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে আরও মনোযোগ দেওয়া এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের প্রতি সমর্থন বাড়ানো। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় ‘বেইজিং ঘোষণা’ বাস্তবায়নের জন্য ফিলিস্তিনের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। সূত্র : গালফ টাইমস।