১৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রতিদিন রসুন খেলে শরীরে যে পরিবর্তন ঘটে

বেশিরভাগ মানুষ রান্নার উপকরণ হিসেবে রসুন ব্যবহার করেন। খাবারে স্বাদ বাড়াতে এর জুড়ি নেই। তবে রান্নার পাশাপাশি কাঁচা রসুন খাওয়া অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।

দিনের যেকোনো সময় রসুন খেতে পারেন। তবে বেশিরভাগ মানুষ সকালে খালি পেটে এটি খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু যদি আপনি তা না করতে পারেন, তাহলে দিনের অন্য যেকোনো সময়ে এটি খেতে পারেন। প্রতিদিন রসুন খেলে শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটে। যেমন:

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: রসুনে অ্যালিসিন যৌগ রয়েছে, যার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীরকে সর্দি, ফ্লু এবং ছোটখাটো সংক্রমণের মতো সাধারণ অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে।

হৃদরোগের স্বাস্থ্য উন্নত করে: রসুন এলডিএল (খারাপ) কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং এইচডিএল (ভালো) কোলেস্টেরল সামান্য বাড়ায়। এটি রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে এবং ধমনীতে প্লাক জমা কমায়, যার ফলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: গবেষণায় দেখা গেছে,রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে, কারণ এটি রক্তনালীগুলিকে শিথিল করতে পারে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে পারে। রসুন উচ্চ রক্তচাপে ভোগা ব্যক্তিদের জন্য উপকারী।

প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে: দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং এমনকি কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং সালফার যৌগ শরীরে প্রদাহ কমায়।

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য মস্তিষ্কের কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং বয়স-সম্পর্কিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে। এর ফলে আলঝাইমার এবং ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি কমে।

প্রতিদিন রসুন খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা থাকলেও, অতিরিক্ত রসুন বিশেষ করে কাঁচা রসুন খাওয়ায় কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে দিনে এক বা দুই কোয়ার বেশি রসুন খাওয়া ঠিক নয়।