প্রতিবছরের মতো এবছরও নিহতদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করার মধ্য দিয়ে ৯/১১ এর ২৪তম বার্ষিকী উদযাপন হলো। দিনটি স্মরণে নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানের গ্রাউন্ড জিরোতে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত স্মরণসভায় নীরবতা পালন, ঘণ্টা বাজানো এবং প্রায় ৩ হাজার নিহতের নাম পাঠের মাধ্যমে স্মরণসভার সমাপ্তি ঘটে। এছাড়া বাংলাদেশীদের উদ্যোগ ও আয়োজনে ব্রঙ্কসের পার্কচেষ্টার এলাকায় ৯/১১ এর ২৪তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয় গভীর শ্রদ্ধার সাথে।
সভ্যতার ইতিহাসে ভয়াবহ ক্ষত সৃষ্টিকারী ২০০১ সালের ৯/১১। ঐদিন আমেরিকার অর্থনৈতিক চালিকা শক্তির একমাত্র প্রতীক বলে বিবেচিত ও বিশ্বের সবচে পরিচিত ‘টুইন টাওয়ার’ বা ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার’-এ আঘাত হানা দুটি যাত্রীবাহি বিমানকে মিসাইল হিসাবে ব্যবহার করে। একই সময়ে আমেরিকার সামরিক শক্তির প্রতীক পেন্টাগনেও একটি বিমানকে ব্যবহার করে ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও আরো একটি বিমান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের পূর্বে পথেই ক্রাশ হয়ে যায়। এসব ঘটনায় সবমিলে প্রাণহানি ঘটে প্রায় তিন হাজার লোকের। পরবর্তীতে ঐ ঘটনায় আহত মিলে এ পর্যন্ত ৫ হাজার মত লোক মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
প্রতিবছরের মতো এবছরও নিহতদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করার মধ্য দিয়ে ৯/১১ এর ২৪তম বার্ষিকী উদযাপন হলো। দিনটি স্মরণে নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানের গ্রাউন্ড জিরোতে বৃহস্পতিবার আয়োজিত স্মরণসভায় নীরবতা পালন, ঘণ্টা বাজানো এবং প্রায় ৩ হাজার নিহতের নাম পাঠের মাধ্যমে স্মরণসভার সমাপ্তি ঘটে।
৯/১১ ঘটনার পর নিহতদের স্মরণে ম্যানহাটানের যেস্থানে একসময় টুইন টাওয়ার দাঁড়িয়ে ছিল ঠিক সেইখানকার গ্রাউন্ড জিরোতে জলপ্রপাত এবং প্যারাপেট দ্বারা বেষ্টিত দুটি স্মারক পুল নির্মান করা হয়। সেখানে মৃতদের নাম লেখা রয়েছে এবং প্রতিবছর তাদের স্মরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে এফবিআই-এর পরিচালক ক্যাশ প্যাটেল, সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস, সাবেক রুডি জুলিয়ানী, মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ, সাবেক গভর্ণর ও মেয়র পদপ্রার্থী এন্ড্রু কুমো, ষ্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান ও মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানী সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন। এদিকে ম্যানহাটানের গ্রাউন্ড জিরোতে সমবেতদের অনেকেই তাদের নিহত স্বজনদের স্মরণে দাঁড়িয়ে নিরবতার মাধ্যমে বা নামের স্থলে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অনেকে এসময় অশ্রু ঝড়িয়ে কষ্ট দূর করেন।
অভিযোগ রয়েছে আল-কায়েদা ৯/১১ ঘটনার জন্য দায়ী। ঐ হামলায় ২,৯৭৭ জন নিহত হন। সেদিন অন্তত ১০/১৫জন বাংলাদেশী নিহত হন। সরকারি রেকর্ড অনুয়ায়ী বাংলাদেশী নিহতদের তালিকায় রয়েছেন- মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, আবুল কাসেম চৌধুরী, মোহাম্মদ সাদেক আলী, আশফাক আহমেদ, নাভিদ হোসেন, নুরুল হক মিয়া ও শাকিলা ইয়াসমীন দম্পতি, সাব্বির আহমেদ, মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন চৌধুরী এবং ওসমান গনি।
এদিকে ভার্জিনিয়ার পেন্টাগনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, মেলানিয়া ট্রাম্প-কে সাথে নিয়ে ৯১১ স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঐদিনের ঘটনায় নিহত সেনা সদস্য এবং বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি সম্মান জানান।অপরদিকে পেনসিলভানিয়া রাজ্যের শ্যাঙ্কসভিলের কাছে একটি গ্রামীণ মাঠে, ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি ডগ কলিন্সের উপস্থিতিতে ৯১১-এর দিন ফ্লাইট ৯৩-এ যারা নিহত হয়েছেন তাদের সম্মান জানানো হয়। খবর ইউএনএ’র।