রাজনৈতিক মোড় ঘোরাতে আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বাংলাদেশে হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুসলমান নয়, হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু, হিন্দুরাই হিন্দুদের ক্ষতি করে। এক ভাই (ভারতে) যায়, তিন ভাইয়ের জায়গা লিখে দিয়ে (বিক্রি করে) যায়।
রাজনৈতিক মোড় ঘোরাতে আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বাংলাদেশে হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুসলমান নয়, হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু, হিন্দুরাই হিন্দুদের ক্ষতি করে। এক ভাই (ভারতে) যায়, তিন ভাইয়ের জায়গা লিখে দিয়ে (বিক্রি করে) যায়।
তিনি বলেন, শেখ মুজিব বিহারি-বাঙালি দাঙ্গা লাগিয়ে, বিহারি-বাঙালি আলাদা করে ১৯৭০ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিলেন- এই অঞ্চলের লোকদের বাঙালি বানিয়ে। এ ধরনের ঘটনা ঘটানোয় আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পটু। দরকার হলে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে নেবে।
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, কোনো মানুষই সাম্প্রদায়িক না, কোনো ধর্মই না। কিন্তু কখনো কোনো কিছু মোকাবিলা করার জন্য দাঙ্গা ফ্যাসাদ করাতে হয়, যাতে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আরেক দিকে চলে যায়। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও ৮৮ সালে এ কাজটা করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে একটা রাজনীতি আছে। অনেক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এ ভারতবর্ষে, এ উপমহাদেশে হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। কিছু গুজবের কারণে। ভারতে এসব দাঙ্গা এখনো চলমান। রাজনৈতিক কুটিলতার মধ্যে এ সাম্প্রদায়িকতা শুধু এখন না, হাজারও বছর আগে থেকে আছে।
হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, বাংলাদেশে মুসলমান নয়, হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু, হিন্দুরাই হিন্দুদের ক্ষতি করে। এক ভাই (ভারত) যায়, তিন ভাইয়ের জায়গা লিখে দিয়ে (বিক্রি করে) যায়। অনেক পুরোনো জমিদার বাড়িতে মন্দির আছে, কিন্তু মন্দির দেবোত্তর না। তাই যেখানে যত মন্দির আছে, সব মন্দির দেবোত্তর করা এবং সীমানা চিহ্নিত করা দরকার।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি অপর্না রায় দাস। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক প্রমুখ।