১১ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গরুর দুধের উপকারিতা

একটি প্রচলিত ধারণা হল, গরুর দুধ সুষম আহার। শিশুদের জন্য তো বটেই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও।

১. গ্রহণ ক্ষমতা বেশি : দুধ ক্যালসিয়ামের অন্যতম সেরা উৎস। তার পাশাপাশি দুধে ফসফরাসও থাকে। এই ফসফরাসের কারণে শরীর দুধে থাকা ক্যালশিয়াম খুব সহজে এবং সম্পূর্ণ ভাবে শোষণ করতে পারে।

অন্য খাবারে যা নেই: অনেক শাক-সব্জিতে ক্যালশিয়াম থাকলেও, সেখানে অক্সালেট বা ফাইটেট জাতীয় পদার্থ থাকে যা ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা দেয়। দুধে এই ধরনের উপাদান থাকে না। তাই এর বায়োঅ্যাভেলেবিলিটি বেশি। অর্থাৎ এর পুষ্টিরস গ্রহণ করা অনেক সহজ। দুধের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের নিখুঁত ভারসাম্যই একে হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।

২. কেসিন ফসফোপেপটাইডস :দুধ থেকে জরুরি খনিজ শোষণ করতে শরীরকে সাহায্য করে।

অন্য খাবারে যা নেই: দুধের প্রোটিনের ভেঙে কেসিন ফসফোপেপটাইডস তৈরি হয়। যা ক্ষুদ্রান্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো খনিজগুলির শোষণে সাহায্য করে। অধিকাংশ খাবারে এই পুষ্টিগুণ থাকলেও শরীর তা সম্পূর্ণ ভাবে গ্রহণ করতে পারে না।

৩. ল্যাক্টোফেরিন : ল্যাক্টোফেরিন হলো দুধে থাকা একটি অত্যন্ত শক্তিশালী প্রোটিন, যা মাংস বা ডিমে সামান্য পরিমাণে থাকলেও অন্যান্য খাবারে প্রায় নেই বললেই চলে।

অন্য খাবারে যা নেই: এই ল্যাক্টোফেরিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, খাবার থেকে আয়রন সংগ্রহ করতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে।

৪. প্রোটিনের জোগান : দুধে দু’রকমের প্রোটিন—কেসিন এবং হোয়ে প্রোটিনের সঠিক ভারসম্যে রয়েছে।অন্য খাবারে যা নেই: হোয়ে প্রোটিন দ্রুত হজম হয় এবং পেশি মেরামতিতে সাহায্য করে। অন্য দিকে, কেসিন ধীরে ধীরে হজম হয়, এবং দীর্ঘ সময় ধরে শরীরকে অ্যামিনো অ্যাসিডের জোগান দিতে থাকে। দুধকে ৯টি প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। যা প্রোটিন উৎপাদনে সাহায্য করে। আর যেহেতু এতে ওই ৯টি প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, তাই দুধকে সুষম খাবার বলেও গণ্য করা হয়।