১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

শেষের পাতা

“ঐক্যবদ্ধ হোন, আইন মেনে চলুন” – নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান এটর্নি মঈন চৌধুরীর

“ঐক্যবদ্ধ হোন, আইন মেনে চলুন” – নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান এটর্নি মঈন চৌধুরীর

নিউইয়র্ক “আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে, কিন্তু সেই একতা তখনই অর্থবহ হবে যখন আমরা আইনকে শ্রদ্ধা করব”-এই বার্তা দিয়ে নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার আগমনকে স্বাগত জানালেন আমেরিকান সুপ্রিম কোর্টের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এটর্নি মঈন চৌধুরী।
তিনি প্রবাসীদের উদ্দেশে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমাদের যেকোনো প্রতিবাদ বা কর্মসূচি অবশ্যই আমেরিকার বিদ্যমান আইন মেনে চলতে হবে। আইন ভেঙে নয়, বরং আইনের ভেতর থেকেই আমাদের শক্তি দেখাতে হবে।”
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, এই সমস্যা বহু বছর ধরে বাংলাদেশের জন্য একটি গভীর ক্ষত। বহু সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এখনো কার্যকর সমাধান আসেনি। তাই এখনই সম্মিলিতভাবে কাজ করার সময়-এমন মন্তব্য করেন তিনি।
প্রবাসীদের ঐতিহাসিক অবদানের কথা উল্লেখ করে মঈন চৌধুরী বলেন, “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রবাসীদের কূটনৈতিক অবদান রাষ্ট্র হয়তো ভুলে গেছে। কিন্তু আমরা দেশের জন্য সবসময় নিবেদিতপ্রাণ।”
তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ২৭ সেপ্টেম্বর বৈঠকের আশা থাকলেও এখনো অনেক প্রবাসী আনুষ্ঠানিক আপডেট পাননি। তবুও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই সফর প্রবাসীদের জন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে নতুনভাবে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ তৈরি করবে।
শেষে প্রবাস বন্ধু হিসেবে খ্যাত মঈন চৌধুরী আবারও প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান: “বিভক্ত নয়, দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হোন, আর আমেরিকায় আইন মেনে চলুন-তাহলেই আমাদের কণ্ঠস্বর হবে আরও শক্তিশালী।
“ঐক্যবদ্ধ থাকুন, সজাগ থাকুন”-নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সফর উপলক্ষে এটর্নি মঈন চৌধুরীর আহবান
নিউইয়র্ক থেকে জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফরকে ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কৌতূহলী হলেও মূলত সতর্ক দৃষ্টিতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এ অবস্থায় প্রবাসীদের উদ্দেশে ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানালেন আমেরিকান সুপ্রিম কোর্টের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এটর্নি মঈন চৌধুরী।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বহু বছর ধরে জাতির জন্য এক গভীর ক্ষত হয়ে আছে। “প্রতিটি সরকারের কাছ থেকে সমাধানের আশ্বাস এলেও বাস্তবে কোনো কার্যকর ফল আসেনি। এখনই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার সময়। তবে সেই কাজ হতে হবে সতর্কতার সাথে ঐক্যবদ্ধ থেকে ও আইন মেনে,” মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে প্রবাসীদের কূটনৈতিক অবদান রাষ্ট্র হয়তো ভুলে গেছে, কিন্তু প্রবাসীরা এখনো দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। “আমরা দূরে থেকেও দেশের পাশে আছি, কিন্তু আমাদের সঙ্গে রাষ্ট্রের নিয়মিত যোগাযোগ নেই। এটিই সবচেয়ে বড় দুর্বলতা,” তিনি বলেন।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে “প্রবাস বন্ধু” এটর্নি মঈন চৌধুরী জানান, প্রবাসীরা আলোচনায় আগ্রহী হলেও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক আপডেট পাননি অনেকে। ফলে এক ধরনের অনিশ্চয়তা সত্তেও প্রত্যাশা বিরাজ করছে নিউইয়র্কের প্রবাসী মহলে।
মঈন চৌধুরী জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের ঐক্যই হবে শক্তি। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিবাদও অবশ্যই আইনসঙ্গত উপায়ে করতে হবে। ঐক্য না ভেঙ্গে সতর্কতা ও শৃঙ্খলার মধ্য দিয়েই প্রবাসীরা দেশের জন্য কার্যকর অবদান রাখতে পারবেন।”