বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকের (জিটিআই) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব ‘নিম্ন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ২০১২ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের মূল প্রবণতা ও ধরনগুলোর বিশদ বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে। ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস প্রকাশিত ১২তম বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার গড় পরিস্থিতির তুলনায় কম ছিল।
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকের (জিটিআই) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব ‘নিম্ন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ২০১২ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের মূল প্রবণতা ও ধরনগুলোর বিশদ বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়েছে। ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস প্রকাশিত ১২তম বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার গড় পরিস্থিতির তুলনায় কম ছিল। এ র্যাংকিংয়ে শূন্য মানে কোনো প্রভাব নেই এবং ১০ মানে সর্বোচ্চ প্রভাব। বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বে ৩৫তম স্থানে রয়েছে; যা গত বছর ছিল ৩২তম। এ র্যাংকিংয়ে ভারত (১৪তম, ৬.৪১১), পাকিস্তান (দ্বিতীয়, ৮.৩৭৪) এবং আফগানিস্তানের (নবম, ৭.২৬২) তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালে সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত দেশের সংখ্যা ৫৮ থেকে বেড়ে ৬৬-এ উঠেছে, যা প্রায় এক দশকের উন্নতির চিত্র পাল্টে দিয়েছে। বুরকিনা ফাসো এ বছর সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে, যদিও সেখানে হামলা ৫৭ শতাংশ এবং মৃত্যু ২১ শতাংশ কমেছে। বিশ্বের সন্ত্রাসবাদে মৃত্যুর পঞ্চমাংশ বুরকিনা ফাসোতে, তারপরে পাকিস্তান ও সিরিয়া রয়েছে। এক দশক আগের তুলনায় এ বছর সন্ত্রাসবাদ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ অঞ্চলের সব দেশই উন্নতি দেখিয়েছে, যা মূলত আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমার কারণে। তবু আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান বিশ্বের ১০টি সবচেয়ে প্রভাবিত দেশের মধ্যে রয়েছে।