২৫শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অর্থনীতি

ডিসেম্বরের মধ্যে খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

ডিসেম্বরের মধ্যে খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

গতবুধবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. কবির আহমেদ ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে খেলাপি ঋণ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. কবির আহমেদ ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. তৌহিদুল আলম খান টিবিএসকে বলেন, “এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে এনপিএল (নন-পারফর্মিং লোন) কমাতে সব ব্যাংককে একযোগে কাজ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নিয়মনীতির মধ্যে থেকেই এ উদ্যোগ নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এনপিএল বা অকার্যকর ঋণ (খেলাপি ঋণ) ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকগুলোর জন্য বিস্তারিত সার্কুলার জারি করেছে। এসব নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অকার্যকর ঋণ পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন করতে পারবে। এতে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণগ্রহীতারা সহায়তা পাবেন এবং খাতজুড়ে শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।

সভায় উপস্থিত আরেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিবিএসকে জানান, “সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনপিএল বেড়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খেলাপি কমানোর জন্য যেসব নীতিগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো কার্যকর হচ্ছে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। ব্যাংকগুলো তাদের অবস্থান জানায় এবং কয়েকটি ব্যাংক ইতোমধ্যে খেলাপি কমাতে পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানিয়েছে।”

বাংলাদেশ ব্যাংক শক্তিশালী ঋণ পুনরুদ্ধার কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে। পাশাপাশি অনাদায়ী বা আদায়-অযোগ্য ঋণ অবলোপন এবং টেকসই ঋণ পুনঃতফসিলের মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে সামগ্রিক খেলাপি ঋণের বোঝা কমানোর পরামর্শ দিয়েছে।

আরেকজন এমডি বলেন, “নীতি সহায়তার মাধ্যমে খেলাপি ঋণ কমাতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো বলেছে— রিকভারি বাড়ানো, অনাদায়ী পুরোনো ঋণ অবলোপন এবং পুনঃতফসিল— এই তিন পথেই খেলাপি কমানো সম্ভব।”