১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশ

ড. ইউনূসকে ‘শব্দ চয়ন নিয়ে সতর্ক থাকার’ আহ্বান, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চায় না ভারত বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

ড. ইউনূসকে ‘শব্দ চয়ন নিয়ে সতর্ক থাকার’ আহ্বান, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চায় না ভারত বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূসকে নিজের বক্তব্যের শব্দ চয়ন নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরনের উত্তেজনা চায় না।

গত ৭ নভেম্বর শুক্রবার ভারতীয় সাংবাদিক ও নেটওয়ার্ক ১৮ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল জোশিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাজনাথ সিং এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকারের একটি অংশজুড়ে ছিল ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপট।

এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চাই না। তবে ইউনূসের (অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূস) উচিত হবে নিজের বিবৃতির শব্দ চয়ন নিয়ে সতর্ক থাকা। তিনি আরও যোগ করেন, ভারত যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম, কিন্তু আমাদের মূল লক্ষ্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা।

২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে আসেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূস। তার সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের টানাপোড়েন শুরু থেকেই বিদ্যমান। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা এই সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে।

সম্প্রতি ঢাকায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফস কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা এবং তুরস্কের পার্লামেন্টের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. ইউনূস। উভয় দেশ— পাকিস্তান ও তুরস্ক— ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনে জড়িত।

তুর্কি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন এমপি মেহমেত আকিফ ইলমাজ। গত সপ্তাহের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের পর ইউনূস প্রতিনিধি দলের সদস্যদের ‘আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামের একটি বই উপহার দেন। বইটি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময়কার বিভিন্ন ছবি ও গ্রাফিতির সংকলন।

তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বইটিতে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ নামে একটি মানচিত্র অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

নিউজ ১৮ আরও অভিযোগ করেছে, ‘আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ সংকলনে আসাম দখল সংক্রান্ত যুদ্ধ পরিকল্পনা এবং যুদ্ধ-পরবর্তী প্রশাসনিক কাঠামো সম্পর্কেও বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টিকে ঘিরেই ভারতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র : ফার্স্টপোস্ট