জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে জেটিওর প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মেহেদি হাসানকে সাক্ষাৎকার দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জনগণের বিভিন্ন ধরনের মতামত আছে। কেউ এমনও বলেন, এ সরকার পাঁচ বছর, ১০ বছর, এমনকি ৫০ বছর পর্যন্ত থাকুক। কিন্তু আমরা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এ বক্তব্যকে তার ‘পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার প্রয়াস’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
তার অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্য দেশের সার্বিক পরিস্থিতিকে অস্থির করে তুলছে। এ কারণে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকাস্থ সেনবাগ ফোরাম আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘জাতিসংঘ সফরে থাকা অবস্থায় গণমাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, জনগণ তাকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চান। তার এ বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করছে। গত এক বছরে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অবস্থা অবনতির দিকে। এ অবস্থায় ড. ইউনূসের এমন বক্তব্য নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এ নেতা। কলকাতায় পূজামণ্ডপে প্রধান উপদেষ্টাকে ব্যঙ্গ করার প্রতিবাদও জানান বিএনপির এ নেতা। তিনি বলেন, ‘ভারতের এমন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপের শামিল।’ যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনারও সমালোচনা করেন তিনি।
ফারুক বলেন, ‘পাহাড়ে অশান্তি চলছে, দুর্গা পূজাকে ঘিরে অশান্তির পাঁয়তারা ছিল। এসব বিষয়কে আমলে না নেয়া হলেও এগুলোর পেছনে ষড়যন্ত্র স্পষ্ট। তবে আমি মনে করি না, বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করে কেউ সফল হতে পেরেছে। দেশে অশান্তি সৃষ্টির মূল শক্তি আওয়ামী লীগ ও ভারত।’