প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভেনেজুয়েলার মাদকচক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারির মধ্যে পুয়ের্তো রিকোতে মোতায়েন করা মার্কিন সেনারা ভেনেজুয়েলার অঞ্চল দখলের জন্য একটি অভিযান শুরু করতে প্রস্তুত। সামরিক বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন এক্সামিনার সংবাদপত্র এমনটাই জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যৌথ বাহিনী এখন ভেনেজুয়েলার বন্দর এবং বিমানঘাঁটির মতো গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু দখল এবং নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট। ওয়াশিংটন এক্সামিনারের প্রতিবেদন অনুসারে, পেন্টাগন এই সম্ভাব্য অভিযানের জন্য তার প্রস্তুতি বিশেষভাবে গোপন করছে না।
পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে, আগস্টের শেষের দিকে মার্কিন যুদ্ধ বিভাগের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের উপকূলে মহড়ার সময় ‘অবতরণ অভিযান এবং বিমানঘাঁটি দখল অভিযান’ চর্চা করা হয়েছিল। গত মাসে সিএনএন জানিয়েছিল, ভেনেজুয়েলার ভেতরে সক্রিয় মাদক পাচারকারী চক্রের ওপর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ক্যারিবীয় সাগরে আটটি যুদ্ধজাহাজ, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন এবং এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। এটিকে সাম্প্রতিক সময়ে ওই অঞ্চলে মার্কিন নৌবাহিনীর অন্যতম বৃহত্তম মোতায়েন বলে মনে করা হচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো গত মাসে স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছিলেন, তার দেশের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আক্রমণ চালানো হলে জাতীয় অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা সংগঠিত সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।
মাদুরো বলেন, ‘যদি ভেনেজুয়েলাকে আক্রমণ করা হয়, তবে শান্তি, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও আমাদের জনগণের সুরক্ষার স্বার্থে যে কোনো স্থানীয়, আঞ্চলিক বা জাতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এটি একটি পরিকল্পিত ও সংগঠিত সশস্ত্র সংগ্রামে রূপ নেবে।’