এবার ট্রাম্পের রোষানলে পড়লেন মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন—এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক জেমস কোমি। মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দুটি অভিযোগ গঠন করেছে ভার্জিনিয়ার একটি ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কংগ্রেসে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন কোমি। গণমাধ্যমে গোপন তথ্য ফাঁসের অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে অসত্য তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
জেমস কোমিকে বহুদিন ধরেই খুব একটা পছন্দ করেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি, কোমিসহ আরও কয়েকজন রাজনৈতিক বিরোধীর বিরুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে কঠোরভাবে তদন্তের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। আর তারপরই কোমির বিরুদ্ধে এই অভিযোগপত্র এল। ট্রাম্পবিরোধীদের বিরুদ্ধে চলমান এই তদন্তে পাম বন্ডি ছাড়াও আরও রয়েছেন লিন্ডসে হ্যালিগ্যান। বর্তমানে তিনি ভার্জিনিয়ায় ইউএস অ্যাটর্নি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী ছিলেন। অ্যটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘এই অভিযোগপত্র আমাদের বিচার বিভাগের প্রতিশ্রুতির প্রমাণ, যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’
আগামী ৯ অক্টোবর ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়ার আদালতে অভিযোগগুলো পাঠানো হবে। সেদিন আদালতে আনুষ্ঠানিক হাজিরা দিতে হবে কোমিকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় শুনানি শুরু হবে। কোমির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ মার্কিন ইতিহাসে নজিরবিহীন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ, জেমস কোমিই প্রথম সাবেক এফবিআই পরিচালক যিনি কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হলেন।
কোমি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি এবং আমার পরিবার খুব ভালো করেই জানি, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে খেসারত দিতে হয়। কিন্তু আমরা কখনোই কারও সামনে মাথা নত করে বাঁচব না। কারওই সেভাবে বাঁচা উচিত নয়। আমি নির্দোষ। তাই বিচার হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফেডারেল বিচারব্যবস্থার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’
দোষী প্রমাণিত হলে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে সাবেক এই এফবিআই পরিচালকের।