১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আর্ন্তজাতিক

দেশের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের ক্ষমতা অন্তর্বর্তী সরকার রাখে না বললেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পরিচয় ডেস্ক : নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি বলেছেন দেশের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন বা সংশোধন করা শুধু সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমেই সম্ভব। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সেই ক্ষমতা রাখে না। তিনি বলেন, ‘জেন জেড আন্দোলনে উত্থাপিত সংবিধান সংশোধন ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবি বর্তমান সরকারের এখতিয়ারের বাইরে। আমি তরুণ প্রজন্মসহ সকল নাগরিককে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাংবিধানিক উপায়ে এই পরিবর্তনের পথে অগ্রসর হয়।’ জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রথম ভাষণে কার্কি বলেন, তার সরকারের প্রধান কাজ হলো আগামী ২০২৬ সালের ৫ মার্চ নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন করা। বর্তমানে নেপালে সংসদীয় ব্যবস্থা চালু, যেখানে সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। যদি সরাসরি জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হয়, তবে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে, যা সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে সম্ভব। এখন সংসদ না থাকায় এই পরিবর্তন কেবল মার্চের নির্বাচনের পরই করা যাবে। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠন সতর্ক করে দিয়েছে যে, অবৈধ কোনো প্রক্রিয়ায় সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টা বিপজ্জনক হবে। এ বিষয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে জেন জেড আন্দোলনকারীদের মধ্যেও। কিছু অংশ নির্বাচন আগে ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়, অন্যরা মনে করে এটি নতুন সংসদের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। জেন জেড নেতা রক্ষা বাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, এই সরকার সংবিধান পরিবর্তনে জড়িত হতে পারে না এবং হওয়া উচিতও নয়। প্রয়োজন হলে নতুন সংসদই পরিবর্তন আনবে।’ অপর এক তরুণ নেতা যুবান রাজভান্ডারী বলেন, ‘এখন সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টা করা মানে প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দেয়া, যা বিভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠীর খেলার সুযোগ তৈরি করবে এবং দেশকে আরো অস্থিতিশীল করতে পারে।’ আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী কার্কি তরুণ প্রতিবাদকারীদের হত্যার ঘটনায় কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইতিমধ্যে সরকার সাবেক বিশেষ আদালতের প্রধানকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিশন গঠন করেছে, যা রাষ্ট্রীয় সহিংসতা, সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংসসহ সব কিছু তদন্ত করবে। ভাষণে কার্কি বলেন, নির্বাচনের সফল আয়োজনের জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। ভোটার নিবন্ধন আইনে সংশোধনী অধ্যাদেশ জারির পর নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সব যোগ্য নাগরিক ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। এছাড়া সরকার বিদেশে কর্মরত নেপালি নাগরিকদেরও ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করছে। তিনি নেপালিদের আসন্ন প্রতিনিধিসভার নির্বাচনে উৎসাহের সঙ্গে অংশ নিয়ে যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচনের অনুরোধ জানান। কার্কি বলেন, ছয় মাসের জন্য গঠিত একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জেন জেড আন্দোলনের সব দাবি পূরণ করতে পারবে না, তবে যতটা সম্ভব তা করার আন্তরিক চেষ্টা করবে। তিনি নাগরিকদের জন্য হয়রানি, দেরি, ঘুষ ছাড়া দ্রুত ও সম্মানের সঙ্গে সরকারি সেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। ‘কোনো ধরনের অবহেলা, সেবা নিয়ে দরকষাকষি, বিলম্ব, ঘুষ দাবি, অযথা হয়রানি বা অসম্মানজনক আচরণ করলে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে’ বলেন জানান সুশীলা কার্কি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, জেন জেড আন্দোলনের উত্থাপিত দাবিগুলো বর্তমান সংবিধানের কাঠামোর মধ্যেই সমাধান করতে হবে।

দেশের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের ক্ষমতা অন্তর্বর্তী সরকার রাখে না বললেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী  পরিচয় ডেস্ক : নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি বলেছেন দেশের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন বা সংশোধন করা শুধু সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমেই সম্ভব। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সেই ক্ষমতা রাখে না। তিনি বলেন, ‘জেন জেড আন্দোলনে উত্থাপিত সংবিধান সংশোধন ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবি বর্তমান সরকারের এখতিয়ারের বাইরে। আমি তরুণ প্রজন্মসহ সকল নাগরিককে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাংবিধানিক উপায়ে এই পরিবর্তনের পথে অগ্রসর হয়।’  জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রথম ভাষণে কার্কি বলেন, তার সরকারের প্রধান কাজ হলো আগামী ২০২৬ সালের ৫ মার্চ নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন করা। বর্তমানে নেপালে সংসদীয় ব্যবস্থা চালু, যেখানে সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। যদি সরাসরি জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হয়, তবে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে, যা সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে সম্ভব। এখন সংসদ না থাকায় এই পরিবর্তন কেবল মার্চের নির্বাচনের পরই করা যাবে।  সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠন সতর্ক করে দিয়েছে যে, অবৈধ কোনো প্রক্রিয়ায় সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টা বিপজ্জনক হবে। এ বিষয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে জেন জেড আন্দোলনকারীদের মধ্যেও। কিছু অংশ নির্বাচন আগে ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়, অন্যরা মনে করে এটি নতুন সংসদের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত।   জেন জেড নেতা রক্ষা বাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, এই সরকার সংবিধান পরিবর্তনে জড়িত হতে পারে না এবং হওয়া উচিতও নয়। প্রয়োজন হলে নতুন সংসদই পরিবর্তন আনবে।’ অপর এক তরুণ নেতা যুবান রাজভান্ডারী বলেন, ‘এখন সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টা করা মানে প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দেয়া, যা বিভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠীর খেলার সুযোগ তৈরি করবে এবং দেশকে আরো অস্থিতিশীল করতে পারে।’  আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী কার্কি তরুণ প্রতিবাদকারীদের হত্যার ঘটনায় কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইতিমধ্যে সরকার সাবেক বিশেষ আদালতের প্রধানকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিশন গঠন করেছে, যা রাষ্ট্রীয় সহিংসতা, সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংসসহ সব কিছু তদন্ত করবে।  ভাষণে কার্কি বলেন, নির্বাচনের সফল আয়োজনের জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। ভোটার নিবন্ধন আইনে সংশোধনী অধ্যাদেশ জারির পর নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সব যোগ্য নাগরিক ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। এছাড়া সরকার বিদেশে কর্মরত নেপালি নাগরিকদেরও ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করছে।  তিনি নেপালিদের আসন্ন প্রতিনিধিসভার নির্বাচনে উৎসাহের সঙ্গে অংশ নিয়ে যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচনের অনুরোধ জানান। কার্কি বলেন, ছয় মাসের জন্য গঠিত একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জেন জেড আন্দোলনের সব দাবি পূরণ করতে পারবে না, তবে যতটা সম্ভব তা করার আন্তরিক চেষ্টা করবে।  তিনি নাগরিকদের জন্য হয়রানি, দেরি, ঘুষ ছাড়া দ্রুত ও সম্মানের সঙ্গে সরকারি সেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। ‘কোনো ধরনের অবহেলা, সেবা নিয়ে দরকষাকষি, বিলম্ব, ঘুষ দাবি, অযথা হয়রানি বা অসম্মানজনক আচরণ করলে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে’ বলেন জানান সুশীলা কার্কি।  তিনি জোর দিয়ে বলেন, জেন জেড আন্দোলনের উত্থাপিত দাবিগুলো বর্তমান সংবিধানের কাঠামোর মধ্যেই সমাধান করতে হবে।

নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি বলেছেন দেশের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন বা সংশোধন করা শুধু সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমেই সম্ভব। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সেই ক্ষমতা রাখে না। তিনি বলেন, ‘জেন জেড আন্দোলনে উত্থাপিত সংবিধান সংশোধন ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবি বর্তমান সরকারের এখতিয়ারের বাইরে। আমি তরুণ প্রজন্মসহ সকল নাগরিককে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাংবিধানিক উপায়ে এই পরিবর্তনের পথে অগ্রসর হয়।’

জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রথম ভাষণে কার্কি বলেন, তার সরকারের প্রধান কাজ হলো আগামী ২০২৬ সালের ৫ মার্চ নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন করা। বর্তমানে নেপালে সংসদীয় ব্যবস্থা চালু, যেখানে সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। যদি সরাসরি জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হয়, তবে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে, যা সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে সম্ভব। এখন সংসদ না থাকায় এই পরিবর্তন কেবল মার্চের নির্বাচনের পরই করা যাবে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠন সতর্ক করে দিয়েছে যে, অবৈধ কোনো প্রক্রিয়ায় সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টা বিপজ্জনক হবে। এ বিষয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে জেন জেড আন্দোলনকারীদের মধ্যেও। কিছু অংশ নির্বাচন আগে ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়, অন্যরা মনে করে এটি নতুন সংসদের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত।

জেন জেড নেতা রক্ষা বাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, এই সরকার সংবিধান পরিবর্তনে জড়িত হতে পারে না এবং হওয়া উচিতও নয়। প্রয়োজন হলে নতুন সংসদই পরিবর্তন আনবে।’ অপর এক তরুণ নেতা যুবান রাজভান্ডারী বলেন, ‘এখন সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টা করা মানে প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দেয়া, যা বিভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠীর খেলার সুযোগ তৈরি করবে এবং দেশকে আরো অস্থিতিশীল করতে পারে।’

আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী কার্কি তরুণ প্রতিবাদকারীদের হত্যার ঘটনায় কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইতিমধ্যে সরকার সাবেক বিশেষ আদালতের প্রধানকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিশন গঠন করেছে, যা রাষ্ট্রীয় সহিংসতা, সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংসসহ সব কিছু তদন্ত করবে।

ভাষণে কার্কি বলেন, নির্বাচনের সফল আয়োজনের জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু হয়েছে। ভোটার নিবন্ধন আইনে সংশোধনী অধ্যাদেশ জারির পর নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সব যোগ্য নাগরিক ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। এছাড়া সরকার বিদেশে কর্মরত নেপালি নাগরিকদেরও ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করছে।

তিনি নেপালিদের আসন্ন প্রতিনিধিসভার নির্বাচনে উৎসাহের সঙ্গে অংশ নিয়ে যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচনের অনুরোধ জানান। কার্কি বলেন, ছয় মাসের জন্য গঠিত একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জেন জেড আন্দোলনের সব দাবি পূরণ করতে পারবে না, তবে যতটা সম্ভব তা করার আন্তরিক চেষ্টা করবে।

তিনি নাগরিকদের জন্য হয়রানি, দেরি, ঘুষ ছাড়া দ্রুত ও সম্মানের সঙ্গে সরকারি সেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। ‘কোনো ধরনের অবহেলা, সেবা নিয়ে দরকষাকষি, বিলম্ব, ঘুষ দাবি, অযথা হয়রানি বা অসম্মানজনক আচরণ করলে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে’ বলেন জানান সুশীলা কার্কি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, জেন জেড আন্দোলনের উত্থাপিত দাবিগুলো বর্তমান সংবিধানের কাঠামোর মধ্যেই সমাধান করতে হবে।