ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য খুবই ভাল পেঁয়াজ। এমনটাই দাবি করেছেন আমেরিকার এন্ডোক্রিন সোসাইটির গবেষকেরা।
ডায়াবিটিসের জন্য কেন ভাল পেঁয়াজ? -পেঁয়াজে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) থাকে, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা বেড়ে যায় না। তা ছাড়া পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং সালফার যৌগ (যেমন অ্যালিল প্রোপাইল ডিসালফাইড) থাকে, যা ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য উপকারী।
টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার সঠিক কারণ স্পষ্ট ভাবে সব সময়ে জানা যায় না। তবে পারিবারিক ইতিহাসের সঙ্গে এর যোগাযোগ বেশ নিবিড়। অর্থাৎ, কোনও ব্যক্তির পরিবারের কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তবে তাঁর ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, কোনও ব্যক্তি ভেবে থাকেন যে, খাবারে চিনি কম খেলে বা একেবারেই না খেলে কোনও দিন ডায়াবিটিস হবে না, সে ধারণা একেবারেই ভুল। কারণ, খাবারে চিনি না খেলেও জাঙ্ক ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, নরম পানীয়ের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। কারও ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত রক্তে শর্করার মাত্রা খুব লক্ষণীয় ভাবে হয়তো বাড়ে না। কিন্তু হঠাৎ অনেকটা বেড়ে যেতেই পারে। আর যাঁদের বাড়িতে কারও ডায়াবিটিস নেই, তাঁদেরও জীবনধারায় নিয়ন্ত্রণ না থাকলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। সে ক্ষেত্রে যদি ডায়েটে নজর দেওয়া যায়, তা হলে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, টাইপ-২ ডায়াবিটিসে মেটফরমিন ওষুধের ডোজ় দেওয়া হয়। তবে কেউ যদি মিষ্টির পরিমাণ কম ও রোজের ডায়েটে পেঁয়াজ রাখেন, তা হলে ওষুধ কম খেতে হবে। পেঁয়াজের সালফার যৌগ ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পরে।
পেঁয়াজ কী ভাবে খেলে উপকার হবে? – স্যালাডে বা স্যান্ডউইচে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া যেতে পারে। ডাল, সব্জি বা মাছ-মাংসে, তরকারিতে পেঁয়াজ দিয়ে খেতে পারেন। তবে পেঁয়াজ বেশি তেলে ভাজা যাবে না।স্যুপে বা স্ট্যুতে পেঁয়াজ খেলে উপকার পাবেন। পেঁয়াজের রসও উপকারী। তবে সকলের শরীর সমান নয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই খাওয়া উচিত।