প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনার শিকার হওয়া এবিসি সাংবাদিক জন লিয়ন্সের পাশে দাঁড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিবিদরা। হোয়াইট হাউসের লনে এক সংবাদ সম্মেলনের লিয়ন্স ট্রাম্পকে তার ব্যক্তিগত ব্যাবসায়িক লেনদেন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার সময় ঘটনাটি ঘটে। এ সময় প্রশ্নকারী সাংবাদিকের নামে আসন্ন বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের কাছে বিচার দেওয়ার হুমকিও দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান রাজনীতিতে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দেশটির অর্থমন্ত্রী জিম চ্যালমার্স বলেন, ‘জন লায়ন্স কেবল নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও প্রশ্ন করার অধিকারকে সম্মান করতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার স্বতন্ত্র সিনেটর ডেভিড পোকক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘অন্য দেশের নেতা যদি সাংবাদিককে নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে নালিশ করেন, সেটি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ এদিকে গ্রিনস দলের সিনেটর সারাহ হ্যানসন-ইয়ং ট্রাম্পের এমন আচরণ ‘মিডিয়াকে ভয় দেখানোর চেষ্টা’ বলে আখ্যা দেন।
তবে লিবারেল পার্টির সিনেটর সারাহ হেন্ডারসন এবিসিকে লায়ন্সের প্রশ্নের ধরন নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন। অন্যদিকে ন্যাশনালস নেত্রী ব্রিজেট ম্যাকেঞ্জি সাংবাদিকের পক্ষে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘কঠিন প্রশ্ন করা সাংবাদিকদের কাজের মধ্যেই পড়ে।’
জন লায়ন্স নিজেই এবিসিকে বলেছেন, তার প্রশ্নগুলো ছিল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক, গবেষণার ভিত্তিতে করা এবং কোনোভাবেই অভদ্র নয়। ‘যদি এমন প্রশ্ন করার কারণে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে যায়, তবে সেটা এক অন্ধকার দিন হবে’, বলেন তিনি।