১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভারত থেকে বাংলাদেশের ২৪৮৫ টন চাল আমদানি

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। গত ২১ আগস্ট থেকে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা পর্যন্ত ভারতীয় ৭১টি ট্রাকে ২ হাজার ৪৮৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। তবে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও দেশের বাজারে দামের কোনো প্রভাব নেই বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাজী মুছা করিম অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি করা হচ্ছে। ভারত থেকে চাল আসা শুরু হওয়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে কিছুটা দাম কমেছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমবে। তারা সরকারের কাছে চাল আমদানি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন। ক্রেতা দিনমজুর হাসন আলী জানান, চাল আমদানি হলেও খুচরা বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। আমরা নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতে পারলেও চাল কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, দুই সপ্তাহে ৭১ ট্রাকে মোট ২ হাজার ৪৮৫ টন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ২১ আগস্ট ৯টি ট্রাকে ৩১৫ টন, ২৪ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ২৭ আগস্ট দুটি চালানে ১২ ট্রাকে ৪২০ টন, ২৮ আগস্ট ৩ ট্রাকে ১০৫ টন, ৩১ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ১ সেপ্টেম্বর ১২ ট্রাকে ৪২০ টন, ২ সেপ্টেম্বর ১৪ ট্রাকে ৪৯০ টন, ৩ সেপ্টেম্বর ৩ ট্রাকে ১০৫ টন এবং সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা পর্যন্ত ৬ ট্রাকে ২১০ টন চাল বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। এসব চালের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স ঊষা ট্রেডিং, মেসার্স মৌসুমী ট্রেডার্স, মেসার্স হাজী মুছা করিম অ্যান্ড সন্স, মেসার্স প্রিয়ম এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স গণী এন্টারপ্রাইজ।

বেনাপোল বন্দরের ডিরেক্টর শামীম হোসেন জানান, আমদানি করা চালের চালানগুলো বন্দর থেকে দ্রুত খালাস দেওয়া হয়েছে। এর আগে এই বন্দর দিয়ে সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল চাল আমদানি হয়েছিল।