অর্থবছরের দ্বিতীয় মাসেই পণ্য রপ্তানি কিছুটা হোঁচট খেল। রপ্তানি কমেছে আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ৩ শতাংশের মতো। রপ্তানি আয় কমেছে ১১ কোটি ডলারের কিছু বেশি। গত আগস্ট মাসে রপ্তানির পরিমাণ নেমে এসেছে ৩৯২ কোটি ডলারে, যা আগের বছরের একই মাসে ছিল ৪০৩ কোটি ডলারেরও বেশি।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস গত জুলাইয়ে রপ্তানি বেড়েছিল প্রায় ২৫ শতাংশ। সে অবস্থা থেকে হঠাৎ নেতিবাচক হওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কহার নিয়ে অনিশ্চয়তা ও অস্বস্তিকে দায়ী করছেন রপ্তানিকারক উদ্যোক্তারা।
তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি এবং অনন্ত গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচাল এনামুল হক খান সমকালকে বলেন, রপ্তানি কমে যাওয়ার মতো এ মুহূর্তে বড় কোনো কারণ নেই। একমাত্র মার্কিন পাল্টা শুল্ক ইস্যু ছাড়া। আগস্ট মাসের ১ তারিখে ২০ শতাংশ হারে শুল্ক ঘোষণার আগপর্যন্ত বড় একটা উদ্বেগ-অনিশ্চয়তা ছিল। ভারতের শুল্ক কমতে পারে বলেও একটা অনুমান ছিল। সে কারণে বেশ কিছু রপ্তানি আদেশ স্থগিত রাখে মার্কিন ব্যান্ড-ক্রেতারা। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে আগস্টে রপ্তানি কমেছে। ভারতীয় পণ্যে শুল্ক কমার পরিবর্তে বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন ভারতে দেওয়া রপ্তানি আদেশ বাংলাদেশে সরিয়ে আনছেন ক্রেতারা। সব মিলিয়ে আগামী মাসগুলোতে রপ্তানি অনেক বাড়বে ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমেছে ৫ শতাংশের মতো। মূলত পোশাকের রপ্তানি এ হারে কমে যাওয়ার প্রভাবেই গোটা রপ্তানি আয় নেতিবাচক হয়েছে। আগস্টে পোশাক রপ্তানি কমে দাঁড়িয়েছে ৩১৭ কোটি ডলারে, যা আগের বছরের আগস্টে ছিল ৩৩৩ কোটি ডলার।