চীনা মালিকানাধীন জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে হোয়াইট হাউস নামে অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে তার একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও প্রকাশের মধ্য দিয়ে নতুন অ্যাকাউন্টটি চালু করা হয়। খবর রয়টার্সের
‘‘হোয়াইট হাউজ’’ নামের ওই অ্যাকাউন্টের প্রথম ভিডিওতে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, “আমি আপনাদের কণ্ঠস্বর।” ক্যাপশনে লেখা ছিল, “আমরা ফিরে এসেছি আমেরিকা। টিকটকের কী হালচাল?”
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৭ কোটিরও বেশি। ফলে এই প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্পের উপস্থিতি তার বক্তব্য ও প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে টিকটককে কৌশলগত মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে রিপাবলিকানরা।
গত নির্বাচনের সময় ট্রাম্পের টিকটক অ্যাকাউন্টে অনুসারীর সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়েছিল। এছাড়াও তিনি নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে সক্রিয় এবং মাঝে মাঝে এক্স (পূর্বের টুইটার)-এ পোস্ট করেন।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লিয়াভিট বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঐতিহাসিক সাফল্যগুলো জনগণের সামনে পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ মাধ্যম ব্যবহার করা হবে। ট্রাম্প প্রশাসন জনগণের সঙ্গে এমনভাবে যোগাযোগ করবে, যা অতীতে কেউ করেনি।”
তবে টিকটক নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের উদ্বেগ নতুন নয়। তাদের আশঙ্কা, অ্যাপটির মাধ্যমে চীনা সরকার মার্কিন নাগরিকদের সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। বাইডেন প্রশাসন ২০২৪ সালে বাইটড্যান্সকে টিকটকের মার্কিন শাখা বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছিল, তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরে এসে সেই সিদ্ধান্ত আর কার্যকর করেননি। বরং তিনবার সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছেন। সর্বশেষ সময়সীমা শেষ হবে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের একাংশ। তাদের অভিযোগ, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন উপেক্ষা করে ট্রাম্প রাজনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন।