২৭শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ফোবানা স্কলারশিপে প্রজন্মের স্বপ্ন ও অনুপ্রেরণার মূলে রেহান রেজা Screenshot

যুক্তরাষ্ট্র আন্ন লেবার ডে-র ছুটির সপ্তাহান্তে, আগামী ২৯, ৩০ ও ৩১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার আটলান্টা শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩৯তম ফোবানা সম্মেলন। আটলান্টার সংগঠন ‘বাংলা ধারা’ এবারের ফোবানা কনভেনশন আয়োজনের দায়িত্ব পালন করছে। প্রতি বছরের মতো এবারও এই সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণীয় কর্মসূচি হচ্ছে ফোবানা স্কলারশিপ ২০২৪-২৫। যাঁর আগ্রহ ও উত্‌সাহে মূলত: ফোবানায় এই স্কলারশিপ কর্মসূচি চালু হয় বেশ কয়েক বছর আগে তিনি হচ্ছেন ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান রেহান রেজা।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণ-তরুণীদের শিক্ষাজীবনে স্বীকৃতি দিতে এবং নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে ফোবানা প্রতি বছর এককালীন আর্থিক সহায়তা ও সম্মাননা সনদ প্রদান করে থাকে। এবারের আবেদন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে, শেষ তারিখ ছিল ১০ আগস্ট। এখন চলছে বাছাই প্রক্রিয়া।

যোগ্যতার ক্ষেত্রে কঠোর মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনকারীকে অবশ্যই জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিংবা বাংলাদেশে জন্ম নিয়ে বর্তমানে বৈধ অভিবাসন পরিচয়ধারী হতে হবে। পাশাপাশি ২০২৫ সালে উচ্চ বিদ্যালয় সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং সামগ্রিক ফলাফল থাকতে হবে ৩.৫ থেকে ৪.০ গ্রেড পয়েন্ট গড়ের মধ্যে। এর বাইরে আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশি সমাজে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ দিতে হবে।

স্কলারশিপ প্রার্থীদের জন্য এবারের রচনার বিষয় ছিল: “বিল্ডিং ব্রিজেস: বাংলাদেশি আমেরিকান তরুণ প্রজন্মের চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের সন্ধান”। জমাকৃত এই রচনা এবং শিক্ষার্থীদের কমিউনিটি কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা বিবেচনা করেই নির্ধারণ করা হবে বিজয়ীদের নাম।

আগামী আগস্টের শেষ সপ্তাহে জর্জিয়ার গ্যাস সাউথ কনভেনশন সেন্টার -এ অনুষ্ঠিত মহাসম্মেলনের বিশেষ মঞ্চে বিজয়ীদের হাতে স্কলারশিপ তুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই স্থানীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণদের মধ্যে এই কর্মসূচি নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে।

বর্তমানে ফোবানা স্কলারশিপ কমিটির চেয়ারম্যান ও , সেই রেহান রেজা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এই স্কলারশিপ কেবল শিক্ষার্থীদের মেধার স্বীকৃতি নয়, বরং নতুন প্রজন্মকে ফোবানা ও বৃহত্তর বাংলাদেশি সমাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার একটি সেতুবন্ধন। তরুণরা এই সুযোগ থেকে অনুপ্রাণিত হবে এবং তাদের বাংলাদেশি পরিচয়কে আরও গর্বের সঙ্গে ধারণ করবে।”

রেহান আরও বলেন, যেসব শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন, তারা প্রত্যেকেই প্রশংসার যোগ্য। ফোবানা সেন্ট্রাল কমিটি, আয়োজক কমিটি এবং স্কলারশিপ কমিটির নিরলস সহযোগিতার জন্য তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এইভাবে ফোবানা শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক বন্ধনকে মজবুত করছে না, বরং আগামী প্রজন্মকে তাদের শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত রাখার এক অনন্য সেতুবন্ধন তৈরি করছে।