নিউইয়র্কের আসন্ন মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জোহরান মামদানি। জয়ী হলে তিনিই হবেন ঐতিহ্যবাহী নগরীর প্রথম, মুসলিম মেয়র। এটা এখন পুরনো খবর। নতুন খবর হলো, ফিলিস্তিনের পক্ষ নেওয়ার কারণেই অসংখ্য নতুন ভোটারদের মন জয় করতে পেরেছেন তিনি। গত ৩০ জুলাই বুধবার ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।
সাম্প্রতিক জরিপ মতে, ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রাইমারিতে প্রথমবার ভোট দিতে আসা মার্কিনিদের কাছে মামদানির ফিলিস্তিনপন্থি মনোভাব বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। তাদের ৮৩ শতাংশ ফিলিস্তিন নিয়ে মামদানির মনোভাবের কারণে তাকে ভোট দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
তাদের মতে, ফিলিস্তিনি মানুষ ও ফিলিস্তিনের স্বার্থরক্ষায় মামদানির দেওয়া নানা বক্তব্য তাদেরকে ওই নেতার প্রতি সমর্থন জানাতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
সার্বিকভাবে, মামদানিকে ভোট দেওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ ছিল জীবনযাত্রার খরচ কমানো ও ধনীদের ওপর বাড়তি কর আরোপের অঙ্গীকার। ডেটা ফর প্রগ্রেস’ নামের প্রগতিশীল গবেষণা সংস্থা এই জরিপের আয়োজন করে।
গত ২৮ জুলাইমঙ্গলবার ইনস্টিটিউট ফর মিডল ইস্ট আন্ডারস্ট্যান্ডিং পলিসি প্রজেক্ট এই জরিপের ফল প্রকাশ করেছে।
নিউইয়র্কের যেসব বাসিন্দা এর আগে কখনো ভোট দেননি, তাদের বেশিরভাগই বলেছেন মামদানির ফিলিস্তিনপন্থি নীতি তাদেরকে ভোটকেন্দ্রে টেনে নিয়েছে। সংখ্যায় তারা হাজার দশেকের কম নন।
সব মিলিয়ে, মামদানিকে ভোট দেওয়ার কারণের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে ‘ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি সমর্থন’। জরিপে অংশ নেওয়া ৬২ শতাংশ ভোটার একে শীর্ষ কারণ হিসেবে অভিহিত করেন।
মামদানি বরাবরই বলে এসেছেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকারে বিশ্বাস ও সমর্থন তার ব্যক্তি-পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের কড়া সমালোচনা করেছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বী ও সাংবাদিকরা তাকে তার এই অবস্থান নিয়ে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করেছেন। জবাবে তিনি আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। পাশাপাশি এটাও জানাতে ভুলেননি—তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যাংশান্স (বিডিএস)’ উদ্যোগকে সমর্থন করেন।
২০০৫ সালে ১৭০টির বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক সমাজ সংস্থা এই শান্তিপূর্ণ উদ্যোগ চালু করে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন মানতে বাধ্য করা, অবৈধ অধিগ্রহণ বন্ধ করা এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি অবলম্বন করা নীতিতে পরিবর্তন আনা।