প্রতিদিনের কোলেস্টেরল গ্রহণের পরিমাণ ৩০০ মিলিগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত।
পুষ্টি সংক্রান্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিদিনের কোলেস্টেরল গ্রহণের পরিমাণ ৩০০ মিলিগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা ও পুষ্টি বিষয়ক নির্দেশনা বলছে, কোলেস্টেরলের সরাসরি প্রভাবের চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট এবং অতিরিক্ত চিনি আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খাবারের কোলেস্টেরল এবং হৃদ্রোগের সম্পর্ক সরাসরি সম্পৃক্ত নয়। আধুনিক নির্দেশনায় সরাসরি কোলেস্টেরল কমানোর কথা না বলে, সেই সব খাবার এড়িয়ে চলার কথা বলা হচ্ছে যেগুলোতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্স ফ্যাট ও চিনি বেশি থাকে। সেগুলো পরোক্ষভাবে কোলেস্টেরল ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
কোলেস্টেরল কী : কোলেস্টেরল হলো একটি মোমের মতো চর্বিযুক্ত পদার্থ, যা মানবদেহের লিভারে তৈরি হয়। শরীর প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণ কোলেস্টেরল নিজেই তৈরি করে। এই কোলেস্টেরল শরীরের সব কোষেই থাকে এবং এটি হরমোন, ভিটামিন ডি ও হজমে সহায়তাকারী পদার্থ তৈরিতে সাহায্য করে। বাইরে থেকে আমরা যেটুকু কোলেস্টেরল আমরা গ্রহণ করি, তা আসে প্রাণিজ উৎস থেকে। গরু, খাসি ও মুরগির মাংস, মাছ, ডিম, দুধ, মাখন ও চিজে কোলেস্টেরল থাকে। কিন্তু উদ্ভিজ্জ উৎস, যেমন শাকসবজি, ফল, ডাল ও শস্যজাতীয় খাবারে কোনো কোলেস্টেরল থাকে না।