ডায়াবেটিস অনেক ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। কিছু ব্যাপার নিয়ে সতর্ক থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সে কারণে খাবার গ্রহণের ব্যাপারে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে হোয়াইট পাস্তা, পেস্ট্রি, ফিজি ড্রিংকস, চিনিজাতীয় পানীয়, মিষ্টি ইত্যাদি।
আর স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে রয়েছে শাকসবজি, ফল, বিনস ও মোটা দানাদার খাদ্যশস্য। অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে আদর্শ ওজন ধরে রাখা, উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী ওজন ঠিক আছে কিনা জেনে নেয়া এবং সঠিক ওজন ধরে রাখার জন্য পরিমিত ও সুষম খাবার গ্রহণ। ওজন কম রাখলেও চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যদি ওজন কমাতে হয় তাহলে সেটা ধীরে ধীরে করতে হবে। সপ্তাহে আধা কেজি থেকে এক কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো যাবে।
স্বাস্থ্যকর তেল, বাদাম খাওয়াও ভালো। ওমেগা থ্রি তেল আছে যেসব মাছে সেগুলো বেশি খেতে হবে। যেমন সারডিন, স্যামন ও ম্যাকেরেল। শাকসবজি ও ফল খেতে হবে। ধূমপান ও অ্যালকোহল ছাড়তে হবে। দৈনিক শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে। পাশাপাশি ব্যায়াম অথবা হাঁটাহাঁটির অভ্যাস রাখতে হবে। খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘুমানো যাবে না। অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমাতে যেতে হবে।
এক বেলা পেট ভরে না খেয়ে পরিমাণে অল্প অল্প করে বিরতি দিয়ে খাওয়া দরকার। ধূমপান পরিহার করাও জরুরি। নজর রাখতে হবে কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপর। এর মাত্রা বেশি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপে ভোগা ব্যক্তিদের লবণ বেশি থাকা খাবার, গরু-খাসির চর্বি, মাখন, পনির পরিহার করে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের জন্য প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, ফল খাওয়া লাগবে।