ভারত থেকে বাংলাদেশের চার জেলার সীমান্ত দিয়ে অন্তত ৫৪ জনকে ‘পুশ ইন’ করার অভিযোগ উঠেছে। ২৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এই ৫৪ জনকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। মৌলভীবাজারে দুটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে অন্তত ২৫ জনকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এদের মধ্যে ১৯ জনকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কাকমারা সীমান্ত দিয়ে ‘পুশ ইন’ করা হয়েছে। শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন, তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।
কমলগঞ্জ উপজেলায় ঢালাই সীমান্ত দিয়ে অন্তত ছয়জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটোন্যান্ট কর্নেল এএসএম জাকারিয়া। তিনি জানান, তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও দুজন নারী। তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সকালের মধ্যে খাগড়াছড়ির দুটি সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারত। তাদের মধ্যে নয়জনকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে এবং বাকি ছয়জনকে পানছড়ি উপজেলা সীমান্ত দিয়ে ‘পুশ ইন’ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পাঁচছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারহানা নাসরিন বলেন, সকালে ছয়জনকে পাঁচছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও একজন পুরুষ।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রংমহল সীমান্ত দিয়ে বিএসএফের বিরুদ্ধে আটজনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজিবি কুষ্টিয়ার ৪৭ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটোন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মোরশেদ রহমান জানান, এই দলে দুই শিশু, তিনজন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছেন। বিএসএফ পুশ ইন করার পর তারা যখন বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভিতরে সীমান্ত সড়ক ধরে হাঁটছিলেন, তখন বিজিবির একটি দল তাদের আটক করে। তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। পরিচয় যাচাইয়ের পর তাদের গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফেনীর সদর উপজেলার জোয়ার কাছাড় সীমান্ত দিয়ে বিএসএফের বিরুদ্ধে একটি পরিবারের চার সদস্যকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুজ্জামান জানান, তারা বাংলাদেশের নাগরিক এবং তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।