যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির একটি হাই স্কুলে গুলি চালিয়ে এক শিক্ষার্থীকে হত্যা এবং আরেক শিক্ষার্থীকে আহত করার পর আত্মহত্যা করেছে এক কিশোর। বুধবার ( ২২ জানুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবর দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের।
ন্যাশভিল পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে জানায়, অ্যান্টিওক হাই স্কুলের ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরে ঢুকে ১৭ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী বেশ কয়েকটি গুলি চালায়। এতে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এ ঘটনায় ১৭ বছর বয়সী আরেক শিক্ষার্থীর হাতে গুলি লেগে আহত হয়।
পুলিশ গুলি চালানো কিশোরকে শনাক্ত করেছে। তার নাম সলোমন হেন্ডারসন। নিহত কিশোরীর নাম জোসেলিন কোরিয়া এসকালান্টে।
বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশভিল পুলিশের প্রধান জন ড্রেক বলেন, বন্দুকধারী শিক্ষার্থী বুধবার সকালে বাসে করে স্কুলে আসে। বেলা ১১টার দিকে বিশ্রামরুমে যায়। সেখান থেকে অস্ত্র নিয়ে ক্যাফেটেরিয়ায় প্রবেশ করে এবং কয়েকটি গুলি চালায়।
গুলি চালানোর উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়, তবে পুলিশ জানিয়েছে যে তারা বন্দুকধারীর সাথে সম্পর্কিত ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ অনলাইন লেখা এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলো পর্যালোচনা করছে।
গুলি চালানো পূর্ব পরিকল্পিত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অ্যান্টিওক হাই স্কুলে প্রায় ২,০০০ শিক্ষার্থী রয়েছে এবং এটি ন্যাশভিলের দক্ষিণ-পূর্বে একটি শহরতলিতে অবস্থিত।
এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে মেট্রো ন্যাশভিল পাবলিক স্কুলের পরিচালক অ্যাড্রিয়েন ব্যাটল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।