নিউইয়র্ক     সোমবার, ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১২৬, উদ্ধার ৪০০ জনেরও বেশী

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ০৪:১৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ০২:৪৩ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১২৬, উদ্ধার ৪০০ জনেরও বেশী

পশ্চিম চীনের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১২৬ জন নিহত হওয়ার পর বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান অব্যাহত রাখতে ১৪০০ এরও বেশি উদ্ধারকর্মী তিব্বতে পৌঁছেছেন। ৪০০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। এতে স্পষ্ট কম্পন অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পে হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া বলছে, গত ৭ জানুয়ারী মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের পর থেকে মাউন্ট এভারেস্টের ভিত্তি থেকে প্রায় ৫০ মাইল দূরে, হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এই অঞ্চলটি একটি প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনে অবস্থিত, এ কারণে সেখানে প্রায়শই ভূমিকম্প হয়। তবে ৭ জানুয়ারী মঙ্গলবারের ভূমিকম্পটি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চীনে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ছিল। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্য অনুসারে, ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পটি ১০ কিমি (ছয় মাইল) গভীরে আঘাত হানে, নেপাল এবং ভারতের কিছু অংশ, যা প্রতিবেশী তিব্বতেও অনুভূত হয়েছিল। ৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালের কম্পন, বাসিদাদের ২০১৫ সালের ভূমিকম্পের স্মৃতি ফিরিয়ে আনে এবং কাঠমান্ডুর অনেক বাসিন্দা তাদের ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর কাছেও ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, প্রায় ৯,০০০ মানুষ মারা যায় এবং ২০,০০০ এরও বেশি আহত হয়।শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর ওই অঞ্চলে আরও কয়েকটি আফটারশক বলেও জানায় ইউএসজিএস। পার্শ্ববর্তী নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও ভূকম্পন অনুভূত হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির প্রকাশ করা ভিডিওগুলোতে ধ্বংসস্তূপ ও ভেঙে পড়া ভবনের চিত্র দেখা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং স্থানীয়দের মোটা কম্বল বিতরণ করছেন।

চীনের আবহাওয়া প্রশাসনের তথ্য বলছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রের কাছাকাছি তিংরি কাউন্টিতে তাপমাত্রা বর্তমানে প্রায় মাইনাস ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যার মধ্যে এটি কমে মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে। ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। মাউন্ট এভারেস্টের পাদদেশে অবস্থিত তিংরি কাউন্টি পর্বতারোহীদের কাছে জনপ্রিয় স্থান। চীন ১৯৫০-এর দশকে তিব্বত দখল করার পর থেকে স্বায়ত্তশাসিত ওই অঞ্চলে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে গণমাধ্যম ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ। চীনা বিমান বাহিনী উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ড্রোন পাঠানো হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা কমাতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য সর্বাত্মক অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

এভারেস্টের কাছেই অবস্থিত নেপালের নামচে অঞ্চলের স্থানীয় এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, নেপালে কম্পন অনুভূত হলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। – বিভিন্ন বার্তা সংস্থার খবর অবলম্বনে সীমা সুস্মিতা

শেয়ার করুন