নিউইয়র্ক     রবিবার, ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশী সিনিয়র সেন্টারের দশম বর্ষপূর্তি, সেন্টার পরিচালনায় নার্গিস আহমেদের অবদানের ভুয়সী প্রশংসা

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০১:২২ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০১:২২ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
দেশী সিনিয়র সেন্টারের দশম বর্ষপূর্তি, সেন্টার পরিচালনায় নার্গিস আহমেদের অবদানের ভুয়সী প্রশংসা

দশ বছর আগে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরুতে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের নিচের তলায় ইন্ডিয়া হোম পরিচালিত বয়স্কদের বিনামূল্যে তত্ত্ববধানকারী সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান দেশি সিনিয়র সেন্টার। পথচলার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ২ রা ডিসেম্বর সোমবার সকালে জ্যামাইকা মুসিলিম সেণ্টার মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সেন্টারের শতাধিক প্রবীণ নারী-পুরুষ ও আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে ভিন্ন এক আবহে আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যাঁর প্রস্তাব ও আর্থিক সহায়তায় সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তত্‌কালীন নিউ ইয়র্ক সিটি কাউন্সিল মেম্বার ররি ল্যাঞ্চম্যান, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সেসময়ের সেক্রেটারী আখতার আহমেদ, ইন্ডিয়া হোম এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডা. বসুন্ধরা কালাসাপুডি, দেশী সিনিয়র সেন্টারের প্রথম দিন থেকেই অদ্যাবধি ডিরেক্টর এর দায়িত্ব পালনরত , বাংলাদেশ সোসাইটি নিউ ইয়র্ক এর সাবেক সভাপতি দিল আফরোজ নার্গিস আহমেদ, অনুষ্ঠানের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ভিএনএস হেল্থ এর ডিরেক্টর সালেহ আহমেদ, সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, সাপ্তাহিক নবযুগ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাগর, কুইন্স ডিষ্ট্রিক্ট এটর্ণী অফিসের কর্মকর্তা রোকেয়া আক্তার, ইমরুল কবীর প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন সুমন ইসলাম।

নার্গিস আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, গত দশ বছর যেভাবে কমিউনিটির লোকজন দেশি সিনিয়র সেন্টারকে পরিচালনায় সহযোগিতা করেছে তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি আগামী দিনগুলিতেও সম্পৃক্ত সকলের সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক সেন্টারটি সপ্তাহের প্রতিদিনই চালু রাখা যায় কিনা তা বিবেচনার প্রসঙ্গ তুলে কমিউনিটির বিত্তবানদের প্রবীণদের সেবায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে ররি ল্যাঞ্চম্যান, আখতার আহমেদ, ডা. বসুন্ধরা কালাসাপুডি, সালেহ আহমেদ,নাজমুল আহসান, শাহাব উদ্দিন সাগর ও রোকেয়া আক্তার সহ প্রায় সকল বক্তাই দেশী সিনিয়র সেন্টার পরিচালনায় বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক প্রেসিডেন্ট নার্গিস আহমেদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে সেন্টারের সাথে সংযুক্ত প্রবীণরা কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত পরিবেশন ও বক্তব্য রাখেন।

দেশী সিনিয়র সেণ্টার পরিচালনায় সহযোগী পার্টনার হিসেবে রয়েছে এনওয়াইসি ডিপার্টমেন্ট অব ইয়ুথ এন্ড কমিউনিটি ডেভলবমেন্ট, ইন্ডিয়া হোম ও এনওয়াইসি ডিপার্টমেন্ট ফর দ্যা এইজিং।

দশ বছর পূর্তি উলক্ষে ‘অনুভব’ নামে একটি সাময়িকী প্রকাশিত হয়। জ্যামাইকা এলাকায় প্রবীণ নারী-পুরুষদের সেবা প্রদানের মধ্য দিয়ে দেশী সিনিয়র সেন্টার ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেন্টারের দৈনন্দিন কার্যক্রম হিসেবে বয়স্কদের ইংরেজি, আরবী শিক্ষা, আর্ট এন্ড ক্রাফ্ট, ইত্যাদি শেখানো হয়। সেন্টারে দুপুরের খাবারও পরিবেশন করা হয় । সব ছবি পরিচয় এর নিজস্ব।

শেয়ার করুন