নিউইয়র্ক     সোমবার, ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুলকপি খাওয়ার ১০ উপকারিতা

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ০২:১১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ০২:১১ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ফুলকপি খাওয়ার ১০ উপকারিতা

শীতের সবজি ফুলকপির দাপট এখন বাজারে। উপকারী এই সবজি দিয়ে রান্না করে ফেলা যায় মজার সব পদ। ফুলকপিতে আছে প্রচুর খাদ্য আঁশ। থায়ামিন, রাইবোফ্লাবিন, নায়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাসেরও ভালো উৎস এই সবজি। ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। জেনে নিন নিয়মিত ফুলকপি খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।

১. ফুলকপির অনেক পুষ্টি উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এগুলো ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। বিশেষ করে ফুলকপিতে আয়োডিন-৩-কারবিনল নামক যৌগ থাকে। গবেষণা বলছে, ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধি ও টিউমার গঠনে বাধা দেয় উপাদানটি। ফুলকপিতে গ্লুকোসিনোলেটস নামে পদার্থের একটি গ্রুপ রয়েছে। এটি হজম করার সাথে সাথে পদার্থগুলো ভেঙে যায় যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। এরা কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
২. ফুলকপির বি, সি ও কে ভিটামিন আমাদের সর্দি, হাঁচি–কাশি, জ্বর জ্বর ভাব, নাক দিয়ে পানি পড়া সমস্যা দূর করে।
৩. কালে দাঁত লালচে হয়ে যাওয়া, দাঁতের মাড়ি দুর্বল হওয়া থেকে বাঁচায় ফুলকপি। এ ছাড়া ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত ও মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড।

৪. ফুলকপি চোখের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকা সালফোরাফেন চোখের রেটিনা ও অন্যান্য কোষ সতেজ রাখে। চোখে ছানি পড়া, অন্ধত্বসহ চোখের রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন নিয়মিত ফুলকপি খেলে।
৫. ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক ফাইবার। এছাড়া বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে উপাদানটি।
৬. ফুলকপিতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় আয়রন; যা রক্ত তৈরি, গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য, বাড়ন্ত শিশু ও অতিরিক্ত পরিশ্রমী মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
৭. ফুলকপিতে থাকা সালফোরাফেন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি ধমনীতে চর্বি জমা প্রতিরোধ করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এই উপাদান। ফুলকপিতে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে।
৮.ফুলকপি কোলিনের একটি ভালো উৎস। এই পুষ্টি উপাদান শরীরের অনেক প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
৯.ফুলকপি রোগ প্রতিরোধক হিসেবে দারুণ উপকারী। কারণ, প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল আছে এতে। চুল, ত্বক, ক্ষত ও ইনফেকশন প্রতিরোধেও এর রয়েছে অনেক গুণ।
১০. ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে, যা শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইট। পটাশিয়াম শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি স্নায়ুতন্ত্র ও মাংসপেশির কার্যক্রম ঠিক রাখে। তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি, ইনস্টিকস, ডক্টর এক্স ডটকম ও হেলথলাইন

শেয়ার করুন