নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হাঁটা যে কারণে এত উপকারী

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৩ | ০১:২৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৭ মে ২০২৩ | ০১:২৩ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
হাঁটা যে কারণে এত উপকারী

সব মানুষই হাঁটে। কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণে হাঁটে এমন মানুষের সংখ্যা অত্যন্ত কম। অথচ হাঁটার অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিয়মিত যথেষ্ট পরিমাণে হাঁটলে পেশি সুগঠিত হয়, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুরক্ষিত থাকে, হজমে সাহায্য করে, মস্তিষ্ক সতেজ থাকে, যা বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়ক। এর পাশাপাশি হাঁটার ফলে মানুষের চিন্তার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়, মেজাজ ভালো থাকে এবং মানসিক চাপ কমে।

স্নায়ুবিজ্ঞানী প্রফেসর শেন ও’মারা পরামর্শ থেকে হাঁটার কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে। ও’মারা আইয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে ট্রিনিটি কলেজে মস্তিষ্ক বিষয়ে গবেষণা করেন। হাঁটার কিছু উপকারিতা নিম্নরূপ :

মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে : নিষ্ক্রিয় থাকার অর্থ শরীরে পেশির শক্তি কমে যাওয়া। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, এর ফলে মস্তিষ্কও শুকিয়ে মরে যেতে শুরু করে। আমরা যখন হাঁটি তখন পেশিতে তৈরি হওয়া অণু আমাদের মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে।

হার্ট ভালো থাকে : হৃৎপিণ্ড ভালো থাকার জন্য হাঁটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পূর্বপুরুষরা, যারা শিকার করে জীবন ধারণ করতেন, তারা দিনে ১৫ থেকে ১৭ মাইল হাঁটতেন। দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলে সিমানে নামের একটি গোত্র আছে, যাদের ৮০ বছর বয়সি ব্যক্তির হার্ট ৫০ বছর বয়সি একজন আমেরিকানের হার্টের মতো কাজ করে। এর কারণ হলো তারা সারাদিনই হাঁটাহাঁটি করে।

হজমে সাহায্য করে : হাঁটা মানুষের পরিপাকতন্ত্রের জন্যেও বন্ধুর মতো কাজ করে। মানুষ যখন অনেক হাঁটা-চলা করে তখন তার খাবারও বেশি হজম হয়। শেন ও’মারা মতে, কোষ্ঠকাঠিন্য কাটাতে ওষুধ না খেয়ে আপনি যদি হাঁটতে বের হন, সেটা অনেক ভালো। এর সাহায্যে আপনি খুব সহজেই হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

শরীরের গঠন অটুট থাকে : আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদেরকে সারাদিন বসে কাজ করতে হয়। এর ফলে শারীরিক গঠনে, বিশেষ করে পিঠে ব্যথা হতে পারে। চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি আপনাকে পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

বিষণ্নতা কাটাতে সাহায্য করে : বিষণ্নতার সঙ্গে বসে থাকার সম্পর্কে রয়েছে বলে মনে করেন স্নায়ুবিজ্ঞানী শেন ও’মারা। রক্তপ্রবাহের সমস্যা থেকে বিষণ্নতা তৈরি হয় বলে ধারণা করা হয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের মধ্যে বিষণ্নতা বেশি দেখা যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাঁটাহাঁটি করা এক ধরনের টিকার মতো কাজ করে, যা বিষণ্নতা কাটাতে সাহায্য করে।

সমস্যা সমাধানে : হাঁটা যে আমাদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে, সেটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। এর ফলে অনেক সমস্যা সমাধান করাও সহজ হয়। অনেক বিখ্যাত লেখক, দার্শনিক এবং গণিতজ্ঞরা হাঁটতে হাঁটতে জটিল সমস্যার সমাধান পেয়েছেন বলে জানা যায়।

উদাহরণ হিসেবে বলে যায় যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক স্টিফেন কিংয়ের কথা বলা যায়। তিনি নিয়মিত প্রচুর হাঁটতেন। তার উপন্যাসের অনেক আইডিয়া হাঁটতে হাঁটতে পাওয়া। দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলও যখন হাঁটতে বের হতেন, তখন ছোট্ট একটি কাগজে তার অনেক চিন্তাভাবনা টুকে রাখতেন। এবং পরে তিনি এসব ব্যবহার করে দুর্দান্ত সব গদ্য রচনা করেছেন। সূত্র : বিবিসি

সুমি/পরিচয়

শেয়ার করুন