সিঙ্গাপুরের ১৮০ বছর পুরনো ঘোড়দৌড়ের ইতিহাসের সমাপ্তি হতে চলেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছোট দ্বীপরাষ্ট্রটির একমাত্র রেসকোর্স সিঙ্গাপুর টার্ফ ক্লাবে আগামী বছর শেষবারের মতো বসবে ঘোড়দৌড়ের আসর। এরপর ১২০ হেক্টরের জমিটি ফেরত নেবে সরকার। সেখানে নির্মাণ করা হবে সরকারি ও বেসরকারি আবাসন। ঘোড়দৌড়ের ভক্ত ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নামে এই মাঠে একটি প্রতিযোগিতা হয়ে আসছে। ১৯৭২ সালে সিঙ্গাপুর সফরকালে ওই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। এরপর ২০০৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো তিনি এই মাঠে আসেন।
গত সোমবার সিঙ্গাপুর টার্ফ ক্লাব এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সিঙ্গাপুরে ঘোড়দৌড়ের একটি সুদীর্ঘ ও বিশেষ ইতিহাস রয়েছে। ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর গ্র্যান্ড সিঙ্গাপুর গোল্ড কাপের শততম আসর পর্যন্ত এখানে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা চলবে। এ সময় ক্রীড়াসুলভ আচরণ, নিরাপত্তা ও সব বর্ণের মানুষের অখণ্ডতা নিশ্চিত করা হবে।’ ১৮৪২ সালে সিঙ্গাপুরে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা চালু হয়েছিল। সে সময় স্কটিশ ব্যবসায়ী উইলিয়াম হেনরি ম্যাক্লিওড রিড ও কয়েকজন মিলে গড়ে তোলেন সিঙ্গাপুর স্পোর্টিং ক্লাব।
সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রে অবস্থিত ফেরার পার্কের কর্দমাক্ত ভূমিকে রেসকোর্সে পরিণত করেন তাঁরা। এরপর ১৯২৪ সালে মাঠটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় সিঙ্গাপুর টার্ফ ক্লাব। ইউরোপীয়দের পাশাপাশি ধনাঢ্য মালয় ও চীনাদের আকৃষ্ট করে এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় ১৯৩৩ সালে রেসকোর্সটি বুকিত তিমাহ এলাকায় বড় পরিসরে স্থানান্তর করা হয়।
সব শেষ ২০০০ সালের মার্চে দ্বীপের উত্তরের ক্রানজিতে স্থানান্তর করা হয় সিঙ্গাপুর টার্ফ ক্লাব।৩৭ কোটি ডলার মূল্যের এই রেসকোর্সে রয়েছে ৩০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পাঁচতলা গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড। সিঙ্গাপুর সরকার বলছে, ‘সিঙ্গাপুর একটি সীমিত ভূমির দেশ। বর্তমান চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পর্যাপ্ত ভূমি নিশ্চিত করতে নিয়মিত ভূমি পরিকল্পনা পর্যালোচনা করে থাকে সরকার।’ সূত্র : বিবিসি
এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়