নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাক্ষ্য দিয়ে ১৩০ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন হ্যারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৩ | ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩ | ১২:২৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
সাক্ষ্য দিয়ে ১৩০ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন হ্যারি

প্রিন্স হ্যারি। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদপত্র গ্রুপের বিরুদ্ধে বেআইনি আচরণের অভিযোগ এনে করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার লন্ডনের হাইকোর্টে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি। এর মধ্য দিয়ে বিরল এক রেকর্ড ভাঙলেন তিনি। কারণ গত ১৩০ বছরের মধ্যে ব্রিটিশ রাজপরিবারের ঊর্ধ্বতন পদে থাকা কোনো সদস্য এই প্রথম আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দিলেন। খবর ডেইলি মেইলের।

মিরর গ্রুপ নিউজপেপারসের (এমজিএন) বিরুদ্ধে মামলার শুনানিতে ব্রিটিশ রাজা চার্লসের ছোট ছেলে হ্যারি গতকাল লন্ডনের হাইকোর্টে সাক্ষ্য দেন। এই এমজিএন ডেইলি মিরর, সানডে মিরর ও সানডে পিপলের প্রকাশক। হ্যারি ছাড়াও শতাধিক খ্যাতনামা ব্যক্তি গ্রুপটির বিরুদ্ধে বেআইনি আচরণের অভিযোগ এনেছে। মামলার অংশ হিসেবে প্রিন্স হ্যারিকে হাইকোর্টে জেরা করা হয়। প্রিন্স হ্যারি মিরর গ্রুপের সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে ফোন হ্যাকিংসহ বেআইনি পদ্ধতি ব্যবহার করার অভিযোগ করেন। গতকাল আদালতে হাজির হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক সাক্ষীর প্রকাশিত বিবৃতির সূত্র ধরে তিনি বলেন যে, ইটন স্কুলে কিশোর বয়সে ট্যাবলয়েডটি তার ভয়েসমেইল হ্যাক করেছিল। হ্যারি বলেন, ‘আমি তখন ক্রমাগত ভয়েসমেইল ছাড়তাম এবং গ্রহণ করতাম, কারণ তখন টেক্সট মেসেজিং খুব কম সাধারণ ছিল। আমার ভয়েসমেইলগুলো একান্ত ব্যক্তিগত এবং সংবেদনশীল তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।’ তিনি বলেন যে, কাগজপত্রের ‘নীচ’ আচরণ তাকে ‘প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণার’ মধ্যে ফেলেছিল।

ব্রিটিশ রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ কোনো সদস্য হিসেবে ১৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথম আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বিরল ইতিহাস গড়লেন প্রিন্স হ্যারি। মেয়ে লিলিবেটের দ্বিতীয় জন্মদিন থাকার কারণে রোববার যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসতে পারেননি হ্যারি। এরপর রওনা দিতে দেরি হওয়ায় তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। এর আগে অষ্টম এডওয়ার্ড ১৮৭০ সালে একটি বিচ্ছেদ মামলায় সাক্ষী হয়েছিলেন, এর ২০ বছর পর তিনি একটি কার্ড খেলাকে কেন্দ্র করে হওয়া মানহানির মামলায়ও সাক্ষ্য দেন। তারপর আর কখনো ব্রিটিশ রাজপরিবারের ঊর্ধ্বতন পদধারী কাউকে আদালতে সাক্ষ্য দিতে দেখা যায়নি। এডওয়ার্ড রাজা হওয়ার আগেই ওই সাক্ষ্যগুলো দিয়েছিলেন।

ব্রিটিশ রাজসিংহাসনে আরোহণের অপেক্ষমাণ তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন প্রিন্স হ্যারি। কিন্তু ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আইনি বিরোধ এবং স্মৃতিকথা প্রকাশ ও নেটফ্লিক্সের ডকুমেন্টারি সিরিজ ঘিরে গত ছয় মাস প্রায়ই সংবাদের শিরোনাম হচ্ছেন তিনি। স্মৃতিকথা ও ডকুমেন্টারি সিরিজে হ্যারি ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলোর সঙ্গে রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ আনেন। এমজিএনের বিরুদ্ধে শতাধিক ব্যক্তি মামলা করার পর গত মাস থেকে এ নিয়ে শুনানি শুরু হয়েছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, তাদের সম্বন্ধে তথ্য পেতে এমজিএনের সাংবাদিক বা তাদের দ্বারা নিয়োগকৃত বেসরকারি গোয়েন্দারা ‘বিপুল মাত্রায়’ ফোন হ্যাক ও অন্যান্য বেআইনি কাজ করেছিল। অভিযোগকারীদের আইনজীবীরা বলছেন, এমজিএনের ঊর্ধ্বতন সম্পাদক এবং নির্বাহীরাও এসব বেআইনি কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত ছিলেন। অন্যদিকে এমজিএন বলছে, তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফোন হ্যাক বা বেআইনি কোনো কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন না।

এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন