রাজধানীর শ্যামলীতে রূপায়ন শেলফোর্ড ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৪ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণে পর ভবনটির ১৯ তলা থেকে একজন পুরুষকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন ফায়ার ফাইটাররা। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটে ২০তলা ভবনটির ৭ম তলায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে প্রথমে ফাঢার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট গিয়ে কাজ শুরু করে। পরে যোগ দেয় আরও ৭টি ইউনিট। মোট ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
২০ তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে মোহাম্মদপুর থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় ও ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। তবে কোনো আবাসিক ফ্ল্যাট নেই। বাইরে থেকে সেভাবে আগুন দেখা না গেলেও ভবনটির সামনে মিরপুর রোডে গাবতলীগামী যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। আগুনের ঘটনায় ভবনটির কয়েকটি তলায় খুঁজে ৪ নারীসহ অন্তত ২৩ জনকে নিরাপদে নামিয়ে এনেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নিহত ব্যক্তির (পুরুষ) পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০ তলায় আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি বলেন, আগুনের সূত্রপাত জানা যায়নি। তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।
রোগীরা সড়কে
আগুনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন রোগী ও স্বজনেরা। দেখা যায়, একজন রোগীকে তার ছেলে ও স্ত্রী কোলে তুলে ৪ তলা থেকে নিচে নামান। তাড়াহুড়ো করে নামাতে গিয়ে আহত হন স্ত্রী ও ছেলে। ওই রোগীর নাম আলম মিয়া। তার স্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে এক ভবন থেকে ইট পড়ে পা ভাঙ্গে আলমের। অবস্থা দিনকে দিন খারাপের দিকে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এনে ভর্তি করা হয় শ্যামলীর ট্রমা সেন্টার ও হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা পরার্মশ দেন অপারেশন করতে। বুধবার ভাঙা পায়ের অপারেশন করা হয় আলমের। জ্ঞান ফেরার পর বৃহস্পতিবারই বেডে আনা হয়েছে তাকে। নামাতে গিয়ে আলম অপারেশন করা পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
আলমের স্ত্রী বলেন, রাতে ভবনটিতে আগুন যখন দাউ দাউ করে জ্বলছিল, তখন আলমকে নামিয়ে রাস্তায় বসিয়ে রাখা হয়। হয়তো একেই বলে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। আমাদের মতো অসহায় এখন আর কেউ নেই! তবে নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি আলমের স্ত্রী। আগুনের ঘটনায় আলমের মতো আরও রোগীকেই রাস্তায় নামাতে হয়েছে। তাদের মধ্যে বয়স্ক রোগীও রয়েছেন। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়