নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকীতে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের দোয়া-মাহফিল

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩ | ০৬:১০ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ | ০৯:১৮ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকীতে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের দোয়া-মাহফিল

নিউইয়র্ক : বাংলাদেশের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করেছে যুক্তরাষ্ট্রস্থ আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ।

আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের প্রেসিডেন্ট শাদাহাত হোসেন রাজুর সভাপতিত্বে এবং বদরুল হক আজাদের পরিচালায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেবিবিএ’র প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ার হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা।

বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পদাক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির আহবায়ক আলিউল্যাহ আতিকুর রহমান, সদস্য সচিব সাঈদুর রহমান সাঈদ, ঢাকা সিটি করর্পোরেশনের কমিশনার সুরাইয়া আফরোজ, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের প্রাক্তণ সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রবিন, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দি, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম বাতিন, বিএনপি নেতা সোহরাব হোসেন, বিএনপি নেতা পারভেজ সাজ্জাদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, লংআইল্যান্ড বিএনপির সভাপতি মিয়া আলম পাখি, দেওয়ান কাওছার, রিয়াজ মাহমুদ, জীবন শফিক, খলকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, শ্রমিক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, গোলাম হোসেন, কাজী আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর জয়, রইস উদ্দিন, শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, শোয়েব আহমেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি গিয়াস আহমেদ, ভোট চোর, ভোট ডাকাত এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের লজ্জায় ডুবিয়েছে। ক্ষমতালোভী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সোমালিয়া এবং রুয়ান্ডার মত অসভ্য দেশে পরিণত করেছে। আমেরিকার মত দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ করেছে। যা আমাদের জন্য লজ্জার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শাক্তি আর বিএনপি হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষে শক্তি।

তিনি আরো বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি নিজে হাতে লিখেছিলেন সেই ভাষণ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কোন পাঠক নয়, তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা। তার ঘোষণাতেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছেন। তিনি বলেন, ভোট চোর, ভোট ডাকাত, গণতন্ত্র হত্যাকারী এবং ক্ষমতালোভী শেখ হাসিনার পতন ঘনিয়ে আসছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- বাংলাদেশে আগামী সংসদ নির্বাচন তত্ত¡াবধায়ক সরকার ছাড়া হবে না।

এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি বলেন, আজকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে শপথ নিতে হবে স্বৈরাচারি শেখ হাসিনার পতনে। তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন নয়। আগামীর বাংলাদেশ হবে শহীদ জিয়ার বাংলাদেশ, বেগম জিয়ার বাংলাদেশ তারেক রহমানের বাংলাদেশ।

আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা না দিলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি, বাংলাদেশে বহু দলীয় গণতন্ত্রও চালু করেছিলেন। আর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে কেউ পাকিস্তানে আত্মসমর্পণ করে চলে গিয়েছিলেন আবার কেউ ভারতের আনন্দ ফূর্তি করেছেন। তিনি বলেন, সংগ্রাম গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বৈরাচারি সরকার পতনের সংগ্রাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করে মাওলানা আলিউল্যাহ আতিকুর রহমান। দোয়া শেষে সবার মাঝে তাবারক বিতরণ করা হয়। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন