নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মাশরাফীকে বিতর্কিত করার ছক

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৩ | ০৭:০২ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ৩০ মে ২০২৩ | ০৭:০২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
মাশরাফীকে বিতর্কিত করার ছক

মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।ছবি : সংগৃহীত

মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা—তাকে বলা হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক। রাজনীতিতে নাম লেখানো ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের ছক তৈরি করেছে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। একের পর এক ঘটনার জন্ম দিয়ে তাকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। ম্লান করার অপচেষ্টা চলছে শান্তি ও সংস্কৃতির জনপদখ্যাত নড়াইলের ঐতিহ্যও। সর্বশেষ কালীদাস ট্যাঙ্ক পুকুরের নাম পরিবর্তনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে রীতিমতো ট্রল চলছে। উঠেছে সমালোচনার ঝড়ও। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মাশরাফীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে ওই গোষ্ঠী।

বিশ্বসেরা ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিতে নাম লেখানোর পর তার বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র কেন? সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস থেকে শুরু করে জন্ম দেওয়া হচ্ছে নানা অঘটন। অনেকেই মনে করেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি ছক কষে মাশরাফীকে নানাভাবে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, আশপাশে থাকা লোকজন ভুল পথে নেওয়ায় বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না মাশরাফীর। আসলে প্রকৃত ঘটনা কী?

জানতে চাইলে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা কালবেলাকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। প্রকল্পের নাম কালীদাস ট্যাঙ্কই থাকবে। দ্রুত এই নামে নতুন ফলক নির্মাণ করে টানিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিষয়টি অনেক পুরোনো, সাত মাস আগের। তাই আমার জানা ছিল না। জানার পর দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছি।

জানা যায়, নড়াইলে নানা অঘটনের নেপথ্যে রয়েছে উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হয়ে একটি গোষ্ঠী বিদেশ থেকে তুচ্ছ ঘটনাকে সাম্প্রদায়িকতার তকমা লাগিয়ে উসকানি দিচ্ছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতসহ সব দলের লোকজন রয়েছে। অর্থাৎ সর্বদলীয় ষড়যন্ত্রের ছক।

আরও জানা যায়, মাশরাফী সংসদ সদস্য হওয়ার পর জেলায় সমঝোতার মাধ্যমে টেন্ডার ভাগাভাগি করে নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। টিআর, কাবিখার কমিশন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক চাঁদাবাজিও প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমেছে। এতে সুবিধাবাদী মহল বেকায়দায় পড়েছে। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক সব কর্মসূচিতেও ফিরেছে স্বচ্ছতা। ফলে উপকৃত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এসব ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে স্বার্থান্বেষী মহল মাশরাফীকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে কোণঠাসা এবং বিতর্কিত করতে সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ড বেছে নিচ্ছে।

গত বছরের ১৭ জুন নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্র ভারতের বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পরদিন কলেজে গেলে কয়েকজন মুসলিম ছাত্র তাকে ওই পোস্ট মুছে ফেলতে বলে। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস পুলিশে খবর দেন। ওই সময় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কলেজের ছাত্র ও স্থানীয়রা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ছাত্রের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়। এরপর তাদের পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। ওই ঘটনার কিছু ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, ঘটনায় সময় সেখানে পুলিশের উপস্থিতি ছিল। মূলত সাম্প্রদায়িক শক্তি উসকানি দিয়ে সবাইকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ১৬ জুলাই লোহাগড়ার দীঘিনালায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাহাপাড়ায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে। মন্দিরসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুরসহ আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পরপরই লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপস্থিত হয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মাশরাফী বলেন, ‘আমার নড়াইল জেলায় আর সাম্প্রদায়িক হামলা হতে দেব না।’ তার এই বক্তব্য সব মহলে প্রশংসিত হয়। এরপর এলাকায় শিবমন্দিরসহ আরেকটি মন্দির নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে তা সমাধান করেন মাশরাফী।

সর্বশেষ নড়াইলের কালীদাস ট্যাঙ্ক পুকুরের নাম পরিবর্তন করে ‘লাল মিয়া বিউটিফিকেশন’ করায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, পুকুরের নাম নয়, প্রকল্পের নাম লাল মিয়া বিউটিফিকেশন। জানা যায়, ১৯০৭ সালে তৎকালীন জমিদার নরেন্দ্রনাথ ভূষণ রায় তার বাবা কালীদাস রায়ের নামে পুকুরটি খনন করেন, যা স্থানীয়দের কাছে কালীদাস ট্যাঙ্ক পুকুর নামে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে এ পুকুরের পানি এলাকার মানুষ ব্যবহার করত। পৌর ভবনের পেছনের সেই পুকুরটি বিউটিফিকেশনের জন্য প্রায় ৬ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। মহিষখোলা মৌজার ৫২৮নং দাগে পুকুরটির জমির পরিমাণ ২ একর ৫ শতাংশ। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে, যা গত বছরের ২২ অক্টোবর মাশরাফী উদ্বোধন করেন। বিউটিফিকেশনের জায়গাটি তাদের দাবি করে এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস।

গত ১২ এপ্রিল কালীদাস ট্যাঙ্ক এলাকায় তদন্ত করতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জুলিয়া সুকায়না এলে তার সামনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস ও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক উভয়পক্ষকে তার কার্যালয়ে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বললে পরে সেখানে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পরিষদ ও পৌরসভা এই জমি নিজের বলে দাবি করে।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মলয় কান্তি নন্দী বলেন, কালীদাস ট্যাঙ্কের নাম পরিবর্তন করে যে বা যারা লাল মিয়া ট্যাঙ্ক রেখেছেন, তারা ঠিক করেননি। তারা না পারল ইতিহাস-ঐতিহ্য ধরে রাখতে, না পারল কালজয়ী শিল্পী এস এম সুলতানকে সম্মান জানাতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমপি মাশরাফী এবং মেয়র আঞ্জুমান আরাকে সাম্প্রদায়িক ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে—এটা সুবিবেচনাপ্রসূত নয়। তাদের অসতর্কতা, অসাবধানতাসহ অন্যান্য ত্রুটি থাকতে পারে; কিন্তু তারা হিন্দু নাম রাখতে চায় না, সেই কথাটা সত্য নয়। জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক কুমার কুণ্ডু বলেন, কারও নাম পরিবর্তন বাঞ্ছনীয় নয়, আমরাও আশা করি না। পুরোনো জিনিস রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এস এ মতিন বলেন, পুকুরটির নাম পরিবর্তন করা ঠিক হয়নি। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম লিটু বলেন, নড়াইলের মানুষ সবসময় অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে। প্রকল্পটিতে কালীদাস ট্যাঙ্কের নাম পরিবর্তন করা হয়নি, কালীদাস ট্যাঙ্ক নামের আগে লাল মিয়ার নাম ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। বিষয়টি নিয়ে কিছু মানুষ উসকানি দিচ্ছে।

বাংলাদেশ জাসদের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট হেমায়েত উল্লাহ হিরু বলেন, তৎকালীন জমিদাররা এ এলাকার মানুষের পানির সমস্যা সমাধান করার জন্য কালীদাস ট্যাঙ্ক পুকুরটি খনন করেছিলেন। তখন থেকেই এটি ওই নামে পরিচিত। এর নাম পরিবর্তন করা হলে তা হবে নিন্দনীয়।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বলেন, নাম পরিবর্তনের খেলা আজকে থেকে শুরু হয়নি, বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই চলছে। হিন্দু নাম রাখা যাবে না, মুসলমান নাম দিতে হবে। এটা একটা বর্বর চিন্তা। এই চিন্তার বিরুদ্ধে সচেতন সব মানুষকে দাঁড়ানো এবং এই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করা উচিত। কালীদাস ট্যাঙ্ক একটা বহুল পরিচিত নাম, যা ঐতিহ্য ধারণ করে। এস এম সুলতান একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাতিঘর, তাকে অন্য কোনো জায়গায়, সড়কের নাম অথবা ব্রিজের নামে জড়িয়ে রাখা যায়। জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জুলফিকার আলী মণ্ডল বলেন, কালীদাস ট্যাঙ্ক পুকুরটি জমিদারদের তৈরি করা। এটির নাম পরিবর্তন করা ঠিক হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ কুণ্ডু মিটুল নাম পরির্তন করা উচিত নয় জানিয়ে বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি এই প্রকল্পটি পাস হয়েছে এস এম সুলতানের (লাল মিয়া) কারণে। উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের সবার সহযোগিতা করা উচিত, যাতে দ্রুত কাজ সম্পন্ন হয়।

নড়াইল পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আঞ্জুমান আরা বলেন, বিগত মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক প্রয়াত জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাসের সময়ে প্রকল্পটি নেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংকে প্রকল্প জমা দেওয়া হলে জানানো হয়, কোনো বরেণ্য পরিচিত ব্যক্তির নামে হলে প্রকল্প পাস করা হবে। সে অনুযায়ী কালীদাস ট্যাঙ্ক নামটি পরিবর্তন করে প্রকল্পটির নামকরণ করা হয় ‘নড়াইল পৌর লাল মিয়া পুকুর বিউটিফিকেশন, স্লোপ প্রটেকশন এবং ওয়াকওয়ে অ্যাট কালীদাস পন্ড অ্যাট মহিষখোলা আন্ডার নড়াইল পৌরসভা, নড়াইল।’ পরে সেটি পাস হয়, যা আমরা বাস্তবায়ন করছি। এখানে কাউকে ছোট বা বড় করার জন্য নাম পরিবর্তন করা হয়নি। উদ্বোধনের সময় তাৎক্ষণিকভাবে নামফলকটি করা হয়েছিল। এ কারণে প্রকল্পের পুরো নামটি আসেনি। কাজ শেষ হলে নতুন নামফলক লাগানো হবে। তিনি বলেন, প্রয়াত মেয়র জাহাঙ্গীর বিশ্বাস ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার একজন মানুষ। আমরাও সবসময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করি। এখানে নাম নয়, উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, কালীদাস ট্যাঙ্কের নাম পরিবর্তন করা ঠিক হয়নি। এটি অসাম্প্রদায়িক নড়াইলকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে উসকে দিয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, নাম পরিবর্তনের বিষয়ে জেলা পরিষদ এবং পৌর কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে। নাম পরিবর্তনের জন্য পৌর মেয়র দায়ী : নড়াইলের কালীদাস ট্যাঙ্ক নিয়ে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে জড়িয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন মন্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস। গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা পরিষদের নিজ কার্যালয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।

সেখানে তিনি বলেন, কালীদাস ট্যাঙ্ক পুকুরটি নড়াইল জেলা পরিষদের মালিকানাধীন। এটি দখল করে পৌর কর্তৃপক্ষ প্রকল্প নিয়েছে। এর সঙ্গে সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ সময় জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান খোকন কুমার সাহা, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মলয় নন্দী, নড়াইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক কুণ্ডু, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিখিল সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ আশরাফুজ্জামান মুকুল, সাবেক সহসভাপতি খামীম খন্দকার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল সিকদার নীল, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ সিংহ পল্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সুবাস বোস আরও বলেন, মাশরাফী আমাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে লাল মিয়া বিউটিফিকেশনের নাম পরিবর্তন করে কালীদাস ট্যাঙ্ক নামের ফলক লাগাতে বলেছেন। সুবাস চন্দ্র বোস জানান, ১৯০৭ সালে তৎকালীন জমিদার কালীদাস দুই একর ৫ শতাংশ জমির ওপর পুকুরটি খনন করেন। পরে পুকুরটি জেলা পরিষদের অধীন হয়। কালীদাস ট্যাঙ্ক পুকুর নামকরণ বদলে ফেলার জন্য নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরাকে দায়ী করেন তিনি। সূত্র : দৈনিক কালবেলা

শেয়ার করুন