বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সঙ্গে আর কাজ করতে চান না কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। শুক্রবার (২৬ মে) এমন কথা জানিয়েছিলেন নারী ফুটবলারদের এই গুরু। সোমবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের চিঠিও দিয়েছেন ছোটন।
বাফুফে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার ও নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন ছোটন। রোববার (২৮ মে) বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির বর্ষসেরা কোচ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর বাসায় ফিরে ইমেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন সাফজয়ী এই কোচ।
কাজ না করার কারণ হিসেবে পদত্যাগপত্রে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তির পাশাপাশি পরিবারকে সময় দেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন ছোটন। ২৮ মে থেকেই তিনি কাজ না করার কথাও জানান তিনি। তবে ফুটবল পাড়ায় গুঞ্জন, যথাযথ সম্মান না পাওয়া এবং ফেডারেশনের অবহেলার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ছোটন। আর্থিক কারণ ছাড়াও যেখানে কোচের ওপর অন্য কর্তাদের খবরদারি নিয়ে অখুশি রব্বানী। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ছাড়াও ফিজিক্যাল ট্রেইনার ইভান রাজলকের আচরণে মনঃক্ষুণ্ন তিনি। যে কারণে মানসিক চাপ নিয়ে কাজ করা কঠিন বলেও জানিয়েছেন কোচ।
নারী দলকে সাফ শিরোপা এনে দেয়ার এ কারিগরকে অবশ্য স্বপদে রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন ও নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাফুজা আক্তার কিরণ। কিন্তু ছোটন নিজের সিদ্ধান্তে অটল। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল