নিউইয়র্ক     মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে সাংবাদিকতা : কারো বিরুদ্ধে ৮০ মামলা, কারো দুই মামলায় ১৮ বছর

বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১১:১৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১১:৩২ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
বাংলাদেশে সাংবাদিকতা : কারো বিরুদ্ধে ৮০ মামলা, কারো দুই মামলায় ১৮ বছর

ঢাকা : বাংলাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার নিস্পত্তি হতে বছরের পর বছর সময় লাগে৷ অধিকাংশ মামলায় শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকরা নির্দোষ প্রমাণিত হলেও হয়রানি ও গ্রেপ্তার এড়াতে পারেন না৷ তাদের সহায়তা দেয়ার মতোও কেউ থাকেন না৷ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ৯ মাসেও নিস্পত্তি না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ জাতিসংঘ৷ বিচারিক হয়রানি বন্ধে জাতিসংঘের চারজন র‌্যাপোটিয়ার তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷

মামলাটি এখন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে৷ ২০২১ সালের ১৭ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে সচিবালয়ে আটকে রাখেন৷ তারা অভিযোগ তোলেন, রোজিনা বিনা অনুমতিতে কোভিড-১৯-এর টিকা কেনা সম্পর্কিত সরকারি নথিপত্রের ছবি মোবাইল ফোনে তুলেছিলেন৷ পরে রোজিনার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেসি আইন এবং দণ্ডবিধির ধারায় মামলা দায়ের করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা৷ গত বছরের ৩ জুলাই পুলিশ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করে৷ সেখানে বলা হয়, রোজিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সপক্ষে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ এরপর রোজিনাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি না দিয়ে পিবিআইকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত৷ সাংবাদিক রোজিনাসহ আরো দুই-একটি ঘটনা আলোচনায় এলেও অনেক সাংবাদিকের ঘটনাই আলোচনায় আসে না৷ ফলে তারা প্রতিকারের কোনো পথও খুঁজে পান না৷ আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থাকেও তাদের বিষয়ে কখনো বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি৷

নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা খবর পরিবেশনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি খুলনায় গ্রেপ্তার করা হয় বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক হেদায়েত হোসেনকে৷ তখন হেদায়েতসহ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামল করেন খুলনার বটিয়ঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী৷ হেদায়েত দুইদিন পর জামিনে মুক্তি পেলেও মামলা থেকে তার অব্যহতি পেতে দুই বছরের বেশি লেগে যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘মামলার চার্জশিটে আমাকে অব্যহতি দেয়া হলেও মানবজমিনের একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সেই মামলা এখনো চলছে৷ তবে তিনি হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেছেন৷ আর আমাকে চার্জশিটে অব্যহতি দেয়ার পর ২০২১ সালের মার্চে ঢাকায় ট্রাইব্যুনালে গিয়ে অব্যহতি নেয়ার পর মামলা থেকে মুক্তি পাই৷’’ তিনি বলেন, ‘‘মিথ্যা মামলায় আমাকে কারাগারে যেতে হয়েছে৷ দুই বছরেরও বেশি সময় প্রতি মাসে আদালতে হাজির হতে হয়েছে৷ এতে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি৷ মানসিক এবং শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি৷ এখন আমি প্রশাসনের দুর্নীতি অনিয়ম নিয়ে লিখতে ভয় পাই৷ আমার হাত কাঁপে৷ খুব সাবধানে লিখি৷’’

কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগান নির্যাতনের শিকার হয়েও উল্টো এক বছরের কারাদন্ড মাথায় নিয়ে সাংবাদিকতা করছেন৷ ২০২০ সালের মার্চ মাসে কুড়িগ্রাম জেলার তখনকার জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভিন মোবাইল কোর্ট বসিয়ে রাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে মাদকের মিথ্যা মামলায় তাকে এক বছরের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন৷ আটকের পর তাকে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়৷ কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি তার দন্ডের কথা জানতে পারেন৷ সরকারি টাকায় পুকুর কাটিয়ে তার নাম নিজের নামে ‘সুলতানা সরোবর’ রেখেছিলেন জেলা প্রশাসক৷ সেই প্রতিবেদন করেছিলেন আরিফুল ইসলাম৷ আরিফুল ইসলাম জানান, ‘‘কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আমি দন্ডের কথা জানতে পারি৷ এরপর হাইকোর্টে রিট করলে আদালত দন্ড স্থগিত করেন৷ কিন্তু সেই দন্ড তিন বছরেও বাতিল হয়নি৷ আর আমি যে মামলা করেছি তাও আর এগোচ্ছে না৷’’

পোশাক কারখানা নিয়ে টেলিভিশনে রিপোর্ট করায় সাভারের সাংবাদিক নাজমুল হুদাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ২০১৬ সালে ৷ গ্রেপ্তারের পর আইসিটি অ্যাক্টে মামলা করে পুলিশ৷ এরপর আরো ছয়টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷ নজমুল হুদা ওইসব মামলায় দেড় মাসের মতো কারাগারে ছিলেন৷ এরপর মামলা থেকে তাকে অব্যহতি পেতে আরো দেড়-দুই বছর লাগে৷ নাজমুল হুদা বলেন, ‘‘আমাকে গ্রেপ্তারের পর দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়৷ সাংবাদিকরা আমার পাশে দাঁড়ান, প্রতিবাদ জানান৷ তা না হলে আমাকে হয়তো এখনো কারাগারে থাকতে হতো৷’’ তিনি জানান, ‘‘তারপরও অব্যাহতি পেতে আমাকে আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বার বার ধর্ণা দিতে হয়৷ আর অব্যাহতি পাওয়ার পরও আমি হুমকির মুখে ছিলাম৷ আমরা মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ফেরত পেতে অব্যাহতির পরও আরো অনেক সময় লেগেছিল৷’’

ডিবিসি টেলিভিশনের রাজবাড়ি জেলার প্রতিনিধি দেবাশীষ বিশ্বাস ২০২০ সালের আগস্টে একটি হত্যার ঘটনায় প্রতিবেদন করার পর তাকেই ওই হত্যা মামলার আসামি করে পুলিশ৷ দেবাশীষ জানান, ‘‘ওই হত্যার ঘটনায় পুলিশের সংশ্লিষ্টতা ছিলো৷ আমি তা প্রতিবেদনে প্রকাশ করায় আমাকে মামলার চার্জশিটে আসামি করা হয়৷ মূল মামলায় আমি আসামি ছিলাম না৷ পরে আদালত চার্জশিট পর্যালোচনা করে আমাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়৷একই সঙ্গে তদন্ত ও তদারকি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির আদেশ দিলেও তাদের শাস্তি হয়নি৷’’ এই সাংবাদিকের মামলা থেকে মুক্ত হতে দুই বছর লেগেছে৷

মাদারিপুরের ‘দৈনিক মাদারিপুর সংবাদ’-এর সম্পাদক ইয়াকুব শিশিরের বিরুদ্ধে চার বছর আগে মানহানির মামলা করেন স্থানীয় একজন ইউপি চেয়ারম্যান৷ ইয়াকুব শিশির জানান, “একটি দুর্নীতির খবর প্রকাশের জেরে ওই মামলা করা হয়৷ আমি চার বছর ধরে নিয়মিত মামলায় হাজিরা দিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু মামলা আর শেষ হয় না৷’’ একুশে টেলিভিশনের এখনকার প্রধান বার্তা সম্পাদক অখিল পোদ্দার ‘জন দুর্ভোগ’ নামে একটি সরেজমিন প্রতিবেদনের অনুষ্ঠান করে বেশ আলোচিত৷ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার পর ২০১২ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়৷ মামলা করেন পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা৷ অখিল জানান, ‘‘ওই মামলার বিচার এখনো শেষ হয়নি৷ আদালতে আমাকে দিনের পর দিন হাজিরা দিতে হচ্ছে৷ কবে শেষ হবে জানি না৷ ১০ বছর ধরে আদালতের বারান্দায় ঘুরছি৷’’

তিনি আরো জানান, “১৯৯৮ সালে যখন আমি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, তখন আমার এক প্রতিবেনের জেরে তখনকার ভিসি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান আমার ও আমার পত্রিকার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিলেন৷ ওই মামলা শেষ হতে আট বছর লেগেছিল৷ নিম্ন আদালতের রায় ভিসির পক্ষে গিয়েছিল৷ তখন জনকন্ঠ ভবন নিলামেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছিল আমরা হাইকোর্ট থেকে পরে রেহাই পাই৷’’

দৈনিক ভোরের কাগজ-এর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তকে কুমিল্লার আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে হয়৷ গত বছরের ১৭ মে তিনি এবং তার পত্রিকার প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলা করেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত৷ মাদক ব্যবসা নিয়ে প্রতিবেদনের জেরে ওই মামলা হয়৷ শ্যামল দত্ত বলেন, “ মামলা কবে শেষ হবে জানি না৷ তবে আদালতে সশরীরে হাজিরা থেকে অব্যহতি চেয়েও পাইনি৷ প্রতি মাসে এখন আমাকে কুমিল্লার আদালতে দৌঁড়াতে হয়৷”

দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের মাথার ওপরে আছে ৮০ মামলা৷ ২০১৬ সালে তার বিরুদ্ধে সারাদেশে একযোগে মামলাগুলো করেন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা৷ ওয়ান ইলেভেনের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় শেখ হাসিনাকে নিয়ে অসমর্থিত খবর প্রকাশের জেরে ওই মামলাগুলো করা হয়৷ মাহফুজ আনাম জানান, “ওই সময়ে উচ্চ আদালত থেকে একযোগে মামলাগুলো থেকে জামিন নিয়েছি৷ এখন মামলাগুলো পড়ে আছে৷ আমি কোয়াশমেন্টের আবেদনও করিনি৷” আদালত সূত্র জনায়, মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ১৭টি এবং মানহানির অভিযোগে ৫৫টি- মোট ৭২টি মামলার নথি হাইকোর্টে আছে৷ এর বাইরে আরো ১০টি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে৷ সিলেট আদালতে করা একটি মামলা খারিজ করা হলেও বাকি মামলাগুলো বহাল আছে৷

খুলনার সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন এমন মামলার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘‘শাস্তির চেয়ে ভয় দেখানো ও হয়রানি করাই এইসব মামলার উদ্দেশ্য৷ কারণ, তারা জানে অসত্য মামলা আদালতে প্রমাণ করা যাবে না৷ তাই প্রভাবশালীরা মামলা করে সাংবাদিকদের জেলে পাঠান, হয়রানি করেন৷ কিন্তু পরে মামলা মিথ্যা প্রমাণ হলেও বাদীর কোনো শাস্তি হয় না৷’’ তার কথা, ‘‘এই ধরনের মামলা বেশি করে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন৷ তারা এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের ভয় দেখায়৷ অন্য সাংবাদিকরাও যেন ভয় পায়- এটাই তাদের উদ্দেশ্য৷’’ অখিল পোদ্দার বলেন, ‘‘আমি প্রতিবেদন করতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাই৷ সেখানকার সাংবাদিকরা খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছেন৷ তাদেরকে নানা ধরনের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়৷ এমনকি ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলাও দেয়া হয়৷ তাদের পাশে দাঁড়াানোর কেউ থাকে না৷ সাংবাদিকরাও বিভক্ত৷’’

আর আরিফুল ইসলাম রিগান বলেন, ‘‘এই হয়রানির মুখে অনেক সাংবাদিক সাংবাদিকতাই ছেড়ে দিচ্ছেন৷’’ নাজমুল হুদা জানান, ‘‘আমি সবার সহায়তায় পেশায় ফিরতে পেরেছি৷ কিন্তু আমাকে গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলার পর আমার প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো তদন্ত ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল৷ তবে মামলর পর অনেকেই পেশায় আর ফিরতে পারেন না৷ এর ফলে সাংবাদিকদের মধ্যে ভয় ছড়িয়ে পড়ে৷’’ ভোরের কাগজ-এর সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, “মামালার মুখে সাংবাদিকতা পেশা এখন অনেক বেশি ঝুঁকির মুখে৷ সাংবাদিকদের ভয়ের মুখে রাখার জন্যই এই মামলা৷ আমরা দাবি করে আসছি যে, প্রেস কাউন্সিলে মামলা করা হোক৷ কিন্তু আমাদের দাবি মানা হচ্ছে না৷ আমরা ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে-তে সাংবাদিক হয়রানির এই মামলা পদ্ধতি ঠেকাতে সুনির্দিষ্ট অস্থানে যাবো৷’’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ওমর ফারুক এ প্রসঙ্গে বলেন, “মামলার পর দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে অধিকাংশ পত্রিকার মালিক পক্ষ সাংবাদিকদের সহায়তা করেন না৷ সেটা আরো দুঃখজনক৷’’ তিনি বলেন, ‘‘ডিজিটাল আইনে মামলা, গ্রেপ্তার পুলিশ সদর দপ্তরের অনুমতি ছাড়া করা যাবে না বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না৷ আমরা বলেছিলাম ডিজিটাল আইনে মামলা করার আগে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করতে হবে৷ প্রেস কাউন্সিল সিদ্ধান্ত দেবে৷ আমরা চাই আমাদের এই দাবি মানা হোক৷” তিনি বলেন, “প্রভাবশালীরা, হোক প্রশাসনে বা প্রশাসনের বাইরে, তারা সাংবাদিকদের দমন, হয়রানি করতে ও ভয় দেখাতে মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে৷ আর মিথ্যা মামলা ঝুলিয়ে রেখে হয়রানি আরো বাড়াচ্ছে৷ আমরা এর অবসান চাই৷’’- হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

শেয়ার করুন