নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পানির অভাবে ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৩ | ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩ | ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
পানির অভাবে ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা

ছবি : সংগৃহীত

গতকাল সারাবিশ্বে পালিত হলো বিশ্ব পরিবেশ দিবস। কিন্তু দিবস পালিত হলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে কতটুকু। মানুষ বাড়ি নির্মানের জন্য ভরাট করছে জলাশয়, কাটছে বৃক্ষ, ধ্বংস করছে পাহাড়। আর এসব কাছে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বিভিন্ন অঞ্চলে। এবার পানি সংকটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় এবার নতুন বাড়ি নির্মাণের ওপর বিধিনিষেধ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে ফিনিক্স ও তার আশপাশের এলাকাগুলো থাকবে কঠোর নজরদারির আওতায়। চলমান খরায় অঞ্চলটিতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। তাই পানির ব্যবহার কমাতে আর নতুন বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

অ্যারিজোনার রাজধানী ফিনিক্স মূলত যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুত সম্প্রসারিত এলাকাগুলোর একটি। ঘনবসতি ও খরার কারণে অনেকদিন ধরেই রাজ্যটির বেশ কিছু অঞ্চলে চলছে পানির সংকট। আর তাই ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে এবার নতুন বাড়ি নির্মাণে বিধিনিষেধ আরোপ করলো প্রশাসন। অ্যারিজোনা ডিপার্টমেন্ট অব ওয়াটার রিসোর্সের তথ্য অনুযায়ী, ফিনিক্সে আগামী ১০০ বছর পর্যন্ত ৬ বিলিয়ন ঘন মিটার পানির ঘাটতি থাকবে। সংকট মোকাবেলায় ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের সেন্টার ফর ওয়াটার পলিসি। নতুন ভবন নির্মাণে মাটির নিচের পানি ব্যবহারে ডেভলপার কোম্পানিগুলোকে দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

এ ব্যাপারে সেন্টার ফর ওয়াটার পলিসির পরিচালক সারাহ পোর্টার বলেন, এই অঞ্চলটিতে কম খরচে বাড়ি নির্মাণের প্রবণতা রয়েছে। যে কারণে গ্রাহকের চাহিদা প্রচুর। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ভূগর্ভস্থ পানিই ব্যবহার করে। তাই চাপ বাড়ছে পানির ওপর। স্তর অনেক নিচে নেমে গেলে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা তৈরি হবে। আর তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এটা করতে হয়েছে। তবে নির্মাণাধীন ভবন ও যেসব আবাসিক স্থাপনায় আগেই নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে তারা কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যটির অন্যান্য শহরগুলোতেও এই নিয়ম কার্যকর করা হবে। অ্যারিজোনার পানির সব উৎসগুলোতেই দ্রুতগতিতে কমছে মজুদ। এরইমধ্যে সংকুচিত হয়ে গেছে অঞ্চলটির পানির অন্যতম প্রধান উৎস কলোরাডো নদী।

এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন