ডায়াবেটিসের রোগীদের সহজেই ওজন বেড়ে যায়। আর ওবেসিটি ধরে নিলে বিপদও বাড়ে। তাই যে সব খাবারে ফাইবার রয়েছে, যে খাবার গ্লাইসেমিক সূচকে নিম্নে রয়েছে, সেই সব সবজি, ফল, গোটা শস্য ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আদর্শ। আর এখানেই আপনাকে সাহায্য করে ঢ্যাঁড়শ। বাজারে সহজে পাওয়া যায় যেসব সবজি যেমন ঢ্যাঁড়শ, পটল, লাউ, ঝিঙের উপকারিতাও অনেক। কিন্তু যখন ডায়াবেটিসের প্রসঙ্গ আসে, কী খাবেন, কী খাবেন না, এই নিয়েই বেশিরভাগ চিন্তিত হয়ে যান। কিন্ত গরমে ঢ্যাঁড়শের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতালে আর সুগার নিয়ে ভাবতে হবে না।
ঢ্যাঁড়শের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এই পুষ্টি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ঢ্যাঁড়শের মধ্যে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার দুটোই রয়েছে, যা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী।
ডায়াবেটিসের রোগীদের সহজেই ওজন বেড়ে যায়। আর ওবেসিটি ধরে নিলে বিপদও বাড়ে। তাই যে সব খাবারে ফাইবার রয়েছে, যে খাবার গ্লাইসেমিক সূচকে নিম্নে রয়েছে, সেই সব সবজি, ফল, গোটা শস্য ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আদর্শ। আর এখানেই আপনাকে সাহায্য করে ঢ্যাঁড়শ। ১০০ গ্রাম ঢ্যাঁড়শের মধ্যে ৩৫ ক্যালোরি, ১.৩ গ্রাম প্রোটিন, ০.২ গ্রাম ফ্যাট রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ভিটামিন বি৬, ফোলেট, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ঢ্যাঁড়শ কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ঢ্যাঁড়শ ভাজা, ঢ্যাঁড়শের তরকারি কিংবা ঢ্যাঁড়শ ভাতে সেদ্ধ করেও খাওয়া যায়। এমনকী ভাত ও রুটি দুটোর সঙ্গেই জমে যায় ঢ্যাঁড়শের যে কোনও পদ। বাঙালির রান্নাঘরে যে ভাবে ঢ্যাঁড়শ রান্না হয়, সেভাবে খেলেও আপনার সুগার ও কলেস্টেরল দুটোই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে হবে আপনি ঢ্যাঁড়শের পানি পান করতে পারেন। শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও, এভাবে ঢ্যাঁড়শ খেলেই নাকি আপনার সুগার একদম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কীভাবে বানাবেন এই ঢ্যাঁড়শের পানি, রইল টিপস।
দুটো গোটা ঢ্যাঁড়শ নিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। ঢ্যাঁড়শের টুকরোগুলো ভাল করে ধুয়ে নিন। এবার এক গ্লাস পানিতে এই ঢ্যাঁড়শের টুকরোগুলো সারারাত ধরে ভিজিয়ে রাখুন পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ওই ঢ্যাঁড়শ পানি পান করুন।
সুমি/পরিচয়
