নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গালিব ইবনে আনোয়ারুল আজীম

ডলারের আধিপত্য হ্রাস দেখতে এ দশকের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৩ | ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৯ মে ২০২৩ | ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ডলারের আধিপত্য হ্রাস দেখতে এ দশকের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে

যুক্তরাষ্ট্রের ডলার কি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও আর্থিক খাতে তার আধিপত্য হারিয়ে ফেলছে? অদূর ভবিষ্যতে চাইনিজ ইউয়ান বা রেনমিনবি তার জায়গা দখল করে নেবে? প্রশ্নটি বছরখানেক ধরে বেশ আলোচিত। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ন্যাটো মিত্ররা রাশিয়াকে নানা অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের পর থেকে যা আরো জোরালো হয়েছে।

ডলার দুনিয়ার প্রধান রিজার্ভ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মুদ্রা হিসেবে থাকবে নাকি অদূরভবিষ্যতে রেনমিনবি তাকে প্রতিস্থাপন করবে—এটাই যদি প্রশ্ন হয়, তাহলে তথ্য-উপাত্ত বিচারে আপাতত উত্তর হলো ‘‌না!’। তার কারণগুলো ও সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত এখানে বিশ্লেষণ করব।

শুরুতেই চলুন ভেবে দেখি যে কোন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ডলারের আধিপত্য হ্রাস নিয়ে আমরা আলাপ করছি? মার্কিন ডলার সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই বিশ্ব অর্থনীতির মূল মুদ্রা হিসেবে ক্রমে আবির্ভূত হয়েছে, মোটামুটি ষাটের দশক থেকে ধরলেও তার আধিপত্যের ৬৫-৭০ বছর হতে চলল। এর মাঝে দুনিয়ার অর্থনীতির ধারা অনেকাংশে বদলে গেছে, তৃতীয় শিল্প বিপ্লব শেষ হয়ে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছি। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিলে আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থায় ডলারের আধিপত্য অনন্তকাল ধরে চলার কথা নয়। প্রায় সাত দশকের আধিপত্যের পর এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, কবে তা ফুরাবে?

ডলারের আধিপত্য হ্রাসের ব্যাপারে সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্ত কী বলে

২০২২ সালে প্রকাশিত আইএমএফের এক গবেষণায় গবেষকরা দেখাচ্ছেন যে বিশ্বের রিপোর্টেড রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের অনুপাত কমছে (https://www.imf.org/en/Blogs/Articles/2022/06/01/blog-dollar-dominance-and-the-rise-of-nontraditional-reserve-currencies)। ১৯৯৯ সালে সারা বিশ্বের ৭০ শতাংশের বেশি রিজার্ভ ছিল মার্কিন ডলারে, ২০২১ সালে যা নেমে এসেছে ৫৯ শতাংশে। ২১ শতাংশের মতো বৈশ্বিক রিজার্ভ রয়েছে ইউরোতে। ডলারের প্রতিস্থাপনের জায়গায় অন্যান্য ট্র্যাডিশনাল রিজার্ভ মুদ্রা যেমন ইউরো, ইয়েন, পাউন্ড ইত্যাদির হার বাড়ছে না। দেশগুলো রিজার্ভে বৈচিত্র্য আনতে বাড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডিয়ান ডলার, চীনা রেনমিনবি ইত্যাদি মুদ্রার মজুদ। ডলারের এ প্রতিস্থাপনের এক-চতুর্থাংশ মাত্র হয়েছে রেনমিনবিতে, বাকিটুকু অন্য কয়েকটি মুদ্রায়!

কেন এসব ‘নন-ট্র্যাডিশনাল’ মুদ্রায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখার হার বাড়ছে সে সম্পর্কে গবেষকরা বলছেন যে এ মুদ্রাগুলোর অন্তর্ভুক্তীকরণ রিজার্ভের বিনিয়োগে উচ্চতর রিটার্ন আনছে, ঝুঁকি হ্রাস করছে। এছাড়া নতুন ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (ফিনটেক) যেমন অটোমেটিক মার্কেট মেকিং, অটোমেটেড লিকুইডিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ইত্যাদির সুবিধা বিভিন্ন মুদ্রায় বাণিজ্যের মূল্য পরিশোধের খরচ হ্রাস ও সহজতর করেছে, যা গত দশকেও এতটা সহজলভ্য ছিল না। আর অনেক ক্ষেত্রেই এ মুদ্রাগুলোর সঙ্গে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের দ্বিপক্ষীয় সোয়াপ লাইন রয়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে এ মুদ্রাগুলোর স্থিতিশীল বিনিময় মূল্যও বাজারে অন্যদের আস্থা তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। এ শেষ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, ডলারের বিপরীতে বিনিময় মূল্য স্থিতিশীল রাখার সম্ভাবনা যেসব মুদ্রায় অধিক, তাতেই রিজার্ভের বৈচিত্র্যায়ণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর রিজার্ভ ম্যানেজারদের আগ্রহ বেশি।

২০২২-এর শেষ প্রান্তিকে সারা বিশ্বের রিজার্ভের ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল ইউএস ডলারে, ২ দশমিক ৭ শতাংশ ছিল রেনমিনবিতে। জাপানিজ ইয়েন কিংবা ব্রিটিশ পাউন্ড এ বৈশ্বিক রিজার্ভ ৫ শতাংশের আশপাশে থাকে, রেনমিনবির সে অবস্থানে পৌঁছতেও আরো অন্তত এক দশক লেগে যেতে পারে!

সুতরাং, বিশ্বের রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে ডলার থেকে রেনমিনবিতে বিশাল কোনো পরিবর্তনের (৩ শতাংশ থেকে হুট করে ৬০ শতাংশ হয়ে যাওয়ার) কোনো লক্ষণ নেই!

চীন কি আদৌ রেনমিনবিকে ডলারের বিকল্প করে তুলতে চায় এবং তা কি তাদের পক্ষে সম্ভব?

এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের ভাবতে হবে ডলার আসলে কী ভূমিকা রাখে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য এর সুফলগুলো কী কী?

শুধু যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রভাব দিয়ে ডলার দুনিয়ার প্রধান মুদ্রা হয়ে ওঠেনি। যুক্তরাষ্ট্র দুনিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনীতি, সবচেয়ে বড় ক্রেতা, তারা বিশাল পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি বজায় রাখে, তাদের আর্থিক বাজার অত্যন্ত খোলামেলা এবং সেখানে আইনের শাসনে বিনিয়োগের নিরাপত্তা আছে—এ সবগুলো বিষয় মিলে ডলারকে রিজার্ভ, বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান মুদ্রায় পরিণত করেছে গত সাত দশকে।

এখন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে চীন যদি রেনমিনবিকে ডলারের সঙ্গে সমপর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়, তার জন্য শুধু চীন সরকার কিংবা চীনা বেসরকারি খাতের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের কিংবা ঋণের মূল্য পরিশোধ তাদের মুদ্রায় সম্পন্ন হওয়াই যথেষ্ট নয়। ব্রাজিলের একজন রফতানিকারক ভারতের আমদানিকারককে যে মূল্য পরিশোধ করবে তা তাকে রেনমিনবিতে করতে আগ্রহী করতে হবে কিংবা মালয়েশিয়া থেকে যে প্রবাসী কর্মী বাংলাদেশে টাকা পাঠান তা রেনমিনবিতে পাঠাতে প্রলুব্ধ করতে হবে। এ ধরনের প্যারাডাইম শিফটের বিশেষ কোনো লক্ষণ আপাতত বিশ্ববাণিজ্যে দৃশ্যমান নয়। যদিও কিছু দেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিজ নিজ মুদ্রা ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে। যেমন ভারত ও বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বড় অংশ রুপিতে সম্পন্ন করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছে।

এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, চীনও কি আসলে ডলারের বিকল্প হিসেবে রেনমিনবিকে প্রধান বৈশ্বিক মুদ্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়? রেনমিনবিকে প্রধান বৈশ্বিক মুদ্রা হিসেবে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হতে হলে চীনকে অন্তত:

১। ক্যাপিটাল কন্ট্রোল তুলে দিতে হবে; ২। নিউইয়র্ক, লন্ডনের মতো বৈশ্বিক আর্থিক কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে যেখানে সারা দুনিয়ার বিনিয়োগকারীরা আস্থা ও নিরাপত্তা পাবে; ৩। রেনমিনবির বিনিময় মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং সুদহার ও মুদ্রানীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ব্যাপারে সারা বিশ্বকে নিশ্চয়তা দিতে হবে; ৪। বাণিজ্য উদ্বৃত্তের সুবিধা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে, চলতি হিসাব ঘাটতির দিকে যেতে হবে। বৈশ্বিক চাহিদার অসাম্যের একাংশও নিজেদের কাঁধে নিতে হবে যা আমেরিকা দীর্ঘদিন করে আসছে।

ক্যাপিটাল কন্ট্রোল তুলে নেয়ার মতো কোনো ইঙ্গিত চীনা আর্থিক নীতিতে দৃশ্যমান নেই। আর যে দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধিতার কারণে শীর্ষ বিলিয়নেয়ারদের সঙ্গে বিরোধ কিংবা গুমের মতো ঘটনা গত কয়েক বছরে ঘটেছে, সেখানে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা দেয়া খুবই কঠিন। তাই উল্লিখিত চারটি বিষয়ের অন্তত প্রথম দুটি পূরণ হওয়া অদূর ভবিষ্যতে চীনের রাজনৈতিক বাস্তবতায় অসম্ভব। উপরোক্ত তৃতীয় শর্তের ক্ষেত্রেও চীনা মুদ্রানীতির ইতিহাস বিশ্বের আর্থিক খাতকে নির্ভরতার বিশেষ কোনো কারণ দেয় না। আর চতুর্থ পয়েন্টটির ক্ষেত্রে তথা চলতি হিসাব ঘাটতির দিকে গেলে চীনের অর্থনীতির জন্য তুলনামূলক লাভের সম্ভাবনা কম, বিশ্বের প্রধান মুদ্রা হওয়ার বদলে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ধরে রাখাই তাদের জন্য ভালো!

তাই প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে চীন উল্লিখিত সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে নিজের মুদ্রাকে বৈশ্বিক আধিপত্যে বিস্তৃত করতে চাইবে না। বরং তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে রেনমিনবিতে মূল্য পরিশোধের অনুপাত বাড়াবে সক্রিয়ভাবে, নিজেদের রিজার্ভেরও বহুমুখীকরণ করবে, ডলারের রিজার্ভ কমিয়ে আনবে! যা এরই মধ্যে ঘটছে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পেমেন্টের ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে সুইফটের তথ্য বলছে বৈশ্বিক পেমেন্টের ২ দশমিক ২ শতাংশ রেনমিনবিতে হয়েছে, যা কয়েক বছর ধরে একই পর্যায়ে আছে। বাণিজ্য ঋণের ক্ষেত্রে রেনমিনবির শেয়ার বেড়ে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে, যা আগের বছর ২ শতাংশ ছিল। চীনের নিজস্ব বাণিজ্যের মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে রেনমিনবির ব্যবহার বেড়ে ২৩ শতাংশ হয়েছে। আগামীতে চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পেমেন্টের ক্ষেত্রে রেনমিনবির ব্যবহার বাড়তে থাকবে, কিন্তু তা বিশ্ববাণিজ্যে ডলারকে চ্যালেঞ্জে ফেলবে এমন কোনো দৃশ্যমান আলামত নেই।

ডলার বিশ্বের প্রধান মুদ্রা না থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের কী কী ক্ষতি হবে

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু নিবন্ধে দেখিয়েছেন যে বিশ্বের প্রধান রিজার্ভ মুদ্রা কিংবা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মুদ্রা হিসেবে ডলারের ব্যবহার কমে এলে আমেরিকার অর্থনীতিতে যে দুর্যোগের আলাপ তোলা হচ্ছে, তা অতিরঞ্জন! (https://www.nytimes.com/2023/05/02/opinion/us-dollar-reserve-currency.html)

বিশ্বের প্রধান রিজার্ভ মুদ্রা থেকে প্রস্থানের উদাহরণ হিসেবে তিনি দেখাচ্ছেন ব্রিটিশ পাউন্ডের ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পৃথিবীর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ৮০ শতাংশের বেশি ছিল পাউন্ডে, যা আজ ৫ শতাংশের কম। তাতে ব্রিটিশ অর্থনীতির কি বিপুল কোনো ধস হয়েছে? লন্ডন দুনিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে এখনো তো ব্যবসা করে যাচ্ছে!

আরেকটি আশঙ্কা হলো, ডলারের বৈশ্বিক আধিপত্য যুক্তরাষ্ট্রকে প্রায় শূন্য খরচে ঋণ নেয়ার ও দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য ঘাটতি চালু রাখার সুযোগ করে দেয়। ডলারের আধিপত্য হারালে মার্কিন অর্থনীতিতে তার প্রভাব কী হবে?

পল ক্রুগম্যান ২০১০-১৯ সালের মধ্যে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর চলতি হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখাচ্ছেন যে বিশ্বের প্রধান মুদ্রা না হয়েও ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা ইত্যাদি দেশ জিডিপির অনুপাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি বজায় রেখেছে। বাণিজ্য ঘাটতি জারি রাখতে মুদ্রার বৈশ্বিক আধিপত্য তাই কোনো অনিবার্য বিষয় নয়! যদিও তার মতে, বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা আমেরিকার অর্থনীতির অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত।

সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে ডলারকে ছাপিয়ে রেনমিনবির দ্রুত প্রধান বৈশ্বিক মুদ্রা হয়ে ওঠার ইশারা নেই। তবে তার মানে এই নয় যে ডলারের আধিপত্যের রূপ আগের মতো একই থাকবে! আমেরিকা ও চীনের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, মুদ্রানীতি ইত্যাদিকে অবশ্যই প্রভাবিত করবে। সে পরিবর্তনের গতিপথ নিঃসন্দেহে গত শতকের চেয়ে ভিন্ন হবে।

তার বৈশিষ্ট্যগুলো হয়তো আমরা এ দশকের শেষ নাগাদ আরো স্পষ্টভাবে বুঝতে পারব! – গালিব ইবনে আনোয়ারুল আজীম: জাতিসংঘের ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের পলিসি ও রেগুলেশন বিশেষজ্ঞ, বর্তমানে প্যাসিফিক অঞ্চলে কর্মরত। বণিকবার্তার সৌজন্যে

নাছরিন/পরিচয়

শেয়ার করুন