৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ট্রাম্পের রোষানলে এবার দীর্ঘদিনের মিত্র মারজোরি টেলর গ্রিন

রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান (প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য) মারজোরি টেলর গ্রিনের ওপর থেকে সব ধরনের সমর্থন তুলে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্পের অ্যাজেন্ডা সমর্থন করে এসেছেন কট্টর রক্ষণশীল গ্রিন। সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের বেশ কয়েকটি নীতির সমালোচনা করেছেন এই আইনপ্রণেতা।

প্রায় ৩০০ শব্দের এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, জর্জিয়ার এই আইনপ্রণেতা ‘একেবারে বাঁ দিকে চলে গেছেন’ এবং আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তাঁকে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বীর মাধ্যমে পরাজিত করার আহ্বান জানান।

এই দুই রিপাবলিকানের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয় যখন গ্রিন প্রশ্ন তোলেন, ট্রাম্প এখনো তাঁর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ অ্যাজেন্ডা অনুসরণ করছেন কি না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্রনীতি এবং যৌন নিপীড়ক জেফরি এপস্টেইন-সংক্রান্ত নথিপত্র পরিচালনারও সমালোচনা করেন গ্রিন।

এই কংগ্রেসওম্যান বলেন, ট্রাম্প এমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন, যেন তিনি অন্য রিপাবলিকানদের এপস্টেইন-সংক্রান্ত নথিপত্র প্রকাশে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চান।

গতকাল রাতে ফ্লোরিডা যাওয়ার পথে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লেখেন, ‘পাগলাটে মারজোরিকে আমি যা করতে দেখি—তা হলো অভিযোগ, অভিযোগ আর অভিযোগ!’

তিনি দাবি করেন, গ্রিন তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কারণ, তিনি তাঁকে গভর্নর বা সিনেটর পদে না দাঁড়াতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘অনেককে তিনি (গ্রিন) বলেছেন, আমি তাঁর ফোন ধরি না বলে তিনি খুব রাগান্বিত। আমি তো প্রতিদিন এক ক্ষুব্ধ “উন্মাদের” ফোনকল নিতে পারি না।’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেন, গ্রিনের নিজের নির্বাচনী এলাকার ভোটাররাও ‘তাঁর কাণ্ডকারখানায় বিরক্ত’ এবং ‘সঠিক প্রার্থী দাঁড়ালে’ তিনি তাঁকে সমর্থন দেবেন।

প্রয়াত অর্থদাতা ও সাজাপ্রাপ্ত পেডোফাইল (শিশু যৌন নিপীড়ক) এপস্টেইন সম্পর্কিত মার্কিন বিচার বিভাগের নথি পরিচালনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান শিবিরে সমালোচনায় জেরবার ট্রাম্প। তাঁর সঙ্গে এপস্টেইনের বহু বছরের বন্ধুত্ব ছিল।

ট্রাম্প যদিও দাবি করেন, এপস্টেইনের প্রথমবার গ্রেপ্তার হওয়ার দুই বছর আগে ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে তাঁদের সম্পর্কের অবসান ঘটে।

গ্রিন সেই চার হাউস রিপাবলিকানের একজন (অন্যরা হলেন ন্যান্সি মেস, লরেন বোবার্ট ও টমাস ম্যাসি), যারা এপস্টেইন ফাইল প্রকাশের দাবিতে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ডিসচার্জ পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন।