অধিকাংশ মানুষই সকালে ঘুম ভেঙে প্রথমেই খোঁজ করেন চায়ের। বলা যায়, সকালে এক কাপ গরম চা না পান করলে চলেই না। অনেকের আবার সারা দিন কাজের ফাঁকে ৩-৪ কাপ চা খাওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে শরীর চাঙা এবং মেজাজ ফুরফুরে রাখতে চায়ের অবদান অনেক। অনেকেই দুধ ও চিনি দিয়ে চা খেতে পছন্দ করেন। অনেকের আবার পছন্দ লিকার চা। তবে চা আরও সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে রান্নাঘরে থাকা ৫ মশলা মেশাতে পারেন। এতে শুধু স্বাদই বাড়াবে না, মুক্তি দেবে অনেক জটিল রোগের।
দারুচিনি : দারুচিনি চা যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যকর। দারুচিনিতে রয়েছে— অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল গুণাগুণ। দারুচিনি চা পানে বিপাক হার বাড়ে, হজম ভালো হয়। এর পাশাপাশি এই চা সর্দি-কাশিতেও খুব স্বস্তি দেয়। আপনি চাইলে প্রতিদিন দারুচিনি চা পান করতে পারেন।
লবঙ্গে : লবঙ্গে ঔষধি গুণ ভরপুর। চায়ে লবঙ্গ দিয়ে খেলে তখন পাচনতন্ত্র আরও ভালোভাবে কাজ করে। এটি পেশির ব্যথাও উপশম করে। এ ছাড়া লবঙ্গ চা পানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।
আদা : আদা চায়ের গুণাগুণ সম্পর্কে কম-বেশি সবাই অবগত। আদার মধ্যে উপস্থিত ঔষধিগুণ আমাদের অসুস্থ হওয়া থেকে বাঁচায়। আদা চা সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা থেকে আরাম প্রদান করে, এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে তোলে। আদার মধ্যে উপস্থিত ঔষধিগুণ আপনাকে অসুস্থ হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে।
তুলসীপাতা : তুলসীপাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ তুলসী বিভিন্ন রোগভোগ থেকে আমাদের বাঁচায়। গ্রীষ্ম বা শীত, উভয় ঋতুতেই তুলসী চা পান করতে পারেন।
এলাচ : এলাচ কেবল চায়ের স্বাদই বাড়ায় না, পাশাপাশি স্বাস্থ্যকরও বটে। এলাচ চা পানে হজম ক্ষমতা উন্নত হয়, মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, গলাব্যথা কমে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ থেকেও মুক্তি মেলে। সূত্র : যুগান্তর
এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়