নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খেলাপি হওয়া থেকে বাঁচল যুক্তরাষ্ট্র

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩ | ০৯:২৬ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৮ মে ২০২৩ | ০৯:২৬ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
খেলাপি হওয়া থেকে বাঁচল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি

কয়েক সপ্তাহের আলোচনা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ঋণসীমা বাড়াতে সম্মত হয়েছেন। এরমাধ্যমে খেলাপি হওয়ার যে শঙ্কায় মার্কিন সরকার পড়েছিল, সেই শঙ্কা কেটে গেছে। রোববার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

অবশ্য তারা দু’জন চুক্তিতে পৌঁছালেও, বিভক্ত কংগ্রেসে এই চুক্তির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন লাগবে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চুক্তিটিকে একটি ‘আপস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। অপরদিকে স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি বলেছেন, ‘এতে ব্যয় সংকোচনের ঐতিহাসিক বিষয়’ রয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, যদি আগামী ৫ জুনের মধ্যে ঋণসীমা বাড়ানোর চুক্তি না করা হয় তাহলে সরকারি ব্যয় মেটানোর অর্থ তাদের কাছে থাকবে না। ফলে সরকার খেলাপি হয়ে যাবে। আর কোনো কথায় যদি যুক্তরাষ্ট্রের সরকার খেলাপি হয় এর বিপর্যয়কর প্রভাব পুরো বিশ্বের অর্থনীতির ওপর পড়বে। সরকারি ব্যয় মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে ঋণ নিতে হয়। কারণ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যে পরিমাণ ট্যাক্স আসে, সেই তুলনায় ব্যয় অনেক বেশি হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকা রিপাবলিকান পার্টি বলেছিল, যদি সরকার ব্যয় সংকোচন না করে তাহলে তারা কংগ্রেসে ঋণসীমা বৃদ্ধির বিষয়টির অনুমোদন দেবে না। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যরা প্রস্তাব দিয়েছিল— ব্যয় সংকোচনের বদলে নির্দিষ্ট কিছু খাতের ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়ানো হোক। কিন্ত এটি মানেনি রিপাবলিকান পার্টি।

রিপাবলিকনার বলছিল, শিক্ষা এবং সামাজিক যেসব কর্মকান্ড আছে সেগুলোর ব্যয় কমাতে হবে। তাহলে তারা ঋণসীমা ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বাড়াবে। এদিকে বাইডেন ও ম্যাকার্থির মধ্যে কী চুক্তি হয়েছে সেটির বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। তবে সংবাদমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে, চুক্তি করা হয়েছে— অসামরিকখাতগুলোর ব্যয় দুই বছর একই রাখা হবে এবং ২০২৫ সালে এটি ১ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্পিকার ম্যাকার্থি বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহের আলোচনা শেষে আমরা একটি নীতিগত চুক্তিতে পৌঁছেছি। আমাদের এখনো অনেক কাজ করা বাকি। তবে আমি মনে করি এটি এমন চুক্তি যেটি আমেরিকানদের ন্যায্য পাওনা।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘ব্যয় সংকোচনের ঐতিহাসিক বিষয় রয়েছে এতে। এটি সাধারণ মানুষকে দারিদ্রতা থেকে মুক্তি দেবে। সরকারের অতিরিক্ত ব্যয়ের লাগাম টানবে। নতুন কোনো ট্যাক্স নেই, নতুন কোনো সরকারি কার্যক্রম নেই। এই আইনে অনেক কিছু আছে।’ ম্যাকার্থি জানিয়েছেন, ঋণসীমা বৃদ্ধির নতুন আইনটি রোববারের মধ্যেই তৈরি করে ফেলতে চান তিনি। এরপর এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে কথা বলবেন এবং বুধবার বিলটি উত্থাপন করবেন।

অপরদিকে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ‘এ চুক্তিতে আপস রয়েছে। যার অর্থ সবাই যা চায় তা পায় না। এটি সরকারের দায়িত্ব।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এ চুক্তি আমেরিকানদের জন্য একটি ভালো খবরও। কারণ এর মাধ্যমে বিপর্যয়কর খেলাপি ঠেকানো গেছে। যে খেলাপি অর্থনৈতিক মন্দা, অবসরপ্রাপ্তদের বিধ্বস্ত এবং কয়েক লাখ চাকরি কেড়ে নিত।’ সূত্র: বিবিসি

শেয়ার করুন