নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এইচ বি রিতা

কে ছিলেন আবদুস শহীদ, কেমন ছিলেন তিনি

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | ০১:০৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | ০১:০৩ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
কে ছিলেন আবদুস শহীদ, কেমন ছিলেন তিনি

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় জন্মেছিলেন কবি আবদুস শহীদ। স্বাধীনতা পরবর্তী তৎকালীন মহকুমা ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন তিনি। প্রায় তিন দশকের প্রবাস জীবনে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজে জড়িত ছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র সুনামগঞ্জ জিলা সমাজ কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি এবং উপদেষ্টা আবদুস শহীদ, উত্তর আমেরিকা প্রথম আলোর নিয়মিত লেখক ছিলেন। নিউইয়র্ক এবং দেশের পত্রপত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখেছেন। নিউইয়র্কের জনসমাজের কাছে একজন বিনয়ী এবং আত্মপ্রচার বিমুখ মানুষ হিসেবে পরিচিত আবদুস শহীদ, আজ আর আমেদের মাঝে নেই।

লিভার ও শারীরিক অন্যান্য সঙ্কটজনিত কারণে এক মাসেরও বেশি সময় তিনি নিউইযর্কের এলআইজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শেষের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। কিন্তু ৮ এপ্রিল শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। ৯ এপ্রিল রোববার বাদ জোহর জামাইকা মুসলিম সেন্টারে নামাজে জানাজা শেষে, ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল মুসলিম করবস্থানে তাঁকে সামাহিত করা হলো। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রোকেয়া শহীদ, সন্তান তাহমিনা শহীদ, রোমেনা শহীদ, তানভীর শহীদ এবং তামিম শহীদ-সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আবদুস শহীদ, তাঁর ব্যক্তি জীবনে ছিলেন একজন পরিপাটি, গোছানো সফল ও সার্থক মানুষ। সন্তানদের তিনি স্কুল কলেজ সম্পন্ন করিয়ে ব্যক্তি জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন। একজন সার্থক পিতা হিসাবে তিনি গর্ব করার মতো সবটুকুই পেয়েছিলেন সন্তানদের কাছ থেকে। স্ত্রী, সন্তান আর নাতি-নাতনীদের নিয়ে তিনি ছিলেন পারিরারিক জীবনে একজন সুখী মানুষ।

দিন শেষে পড়ন্ত বিকালে আমরা সবাই ক্লান্ত হই। আমাদের বিশ্রামের দরকার হয়। আবদুস শহীদও সেই বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলেন। আর তাই খুব বেশি মনেযোগী হয়ে পড়েছিলেন লেখালেখি নিয়ে। গল্প লিখতেন, কবিতা লিখতেন। এগুলোই ছিল তাঁর ক্লান্তির পর নিরাপদ বিশ্রামাগার। আবদুস শহীদ ছিলেন একজন জীবন সচেতন কবি। অতীত ও বর্তমানকে তিনি কাব্যির সুরের ঝঙ্কারে অচেচ্ছদ্য সম্পর্কসূত্রে বেঁধেছেন। তাঁর কবিস্বভাব ছিল অন্তর্মুখী, দৃষ্টিতে ছিল জীবনবোধের চেতনা। বয়সের সময়কে তিনি প্রকৃতির নানান রূপে আবিস্কার করতেন। বয়সের সাথে ফুরিয়ে আসা আয়ুস্কাল নিয়ে তিনি ভাবতেন। তাঁর অনেক কবিতায় থাকতো সেই ভাবনার কথা। তিনি ফিরে যেতেন শৈশব-কৈশোর, যৌবনের সেই প্রাণবন্ত সোনালি ধানখেতের পাড়ে, যেখানে তিনি নৈঃশব্দ্যের শ্বাস-প্রশ্বাসকে হারমোনিয়ামের রিডে স্বরলিপির সারে গামা পা-তে সূর্যমুখী কে দেখতেন জুঁই হিসাবে।

‘ঝরা পাতার মর্মরে পথে’- কবিতায় আবদুস শহীদ লিখেছিলেন,

“তুমি কীভাবে, কেন নিরুদ্দেশ হবে?

কীভাবে পালাবে নিজের আঙ্গিনা থেকে

ঝরা পাতার গায়ে মর্মরে শব্দ তুলে

তুমি পালাবে সবুজের ছায়াঘন শেষে

কিন্তু কেন?”

নিজেকে নিজে প্রশ্নবিদ্ধ করে, তিনি নিজেই পালিয়ে গেলেন। নিরুদ্দেশ হলেন নিজের আঙ্গিনা ছেড়ে।

“ঝরা পাতার বৃক্ষরাজি বাসন্তী রঙ্গে হবে রাঙ্গা

ঝরা পাতা তবুও বলে, দেখা হবে গোধূলি বেলা

সবুজের টান ফুরোলে ঝরা পাতারা হয় মৃত

ঋতুর টানে ফিরবে আবার হবে সমাদৃত।”

ঋতুর টানে শুকনো ঝরা পাতা আবারো সবুজ হয়। মানুষ কেবল ফিরে না পুরানো বয়স বা সময়কালে পুনরায়। তিনি জানতেন সে কথা। তবু কেন বললেন, “ঝরা পাতা তবুও বলে, দেখা হবে গোধূলি বেলা?” নিজেকে নিজে কেন এই প্রহসন? অভিমান নাকি পড়ন্ত বেলার শান্তনা?

“খয়েরি আভা ছড়িয়ে অতি ক্লান্ত তুমি

অপরিচিত রোদ হঠাৎ অশনিপতন ঘটিয়ে

ক্ষণিকের মধ্যে অন্ধকারে ঢেকে দেবে প্রিয় মুখ

চেনা শহর সুবিশাল দিগন্তে, তবে কেন তুমি

নিরুদ্দেশ হবে?”

বয়সের দাবী ধরে রেখেছিলেন কবিতায়। ক্ষণিকের মধ্যে অন্ধকার ঢেকে দেবে কোনো একদিন তাঁর মুখ-তিনি তা নিশ্চিত জানতেন। তবু নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করে গেছেন, তুমি কেন নিরুদ্দেশ হবে? এ প্রশ্নের জবাব কে দিবে?

“দূর থেকে শুনতে পাবে মৃত্যুপথযাত্রীদের শব্দ

শুকনো পাতা ঝরায় কানের গভীরে কে যেন বলে,

মাড়িয়ে যা শুকনো পাতা, ওরা তো এখন মৃত

ঝরা পাতারা কান্না লুকোয় বৃষ্টির শব্দে, তবে কেন

তুমি নিরুদ্দেশ হবে?”

বয়স এবং শারীরিক নানা সঙ্কটপূর্ণ অবস্থায় তিনি ঝরা শুকনো পাতাকে নিজ অবয়বে দেখেছেন। জীবনের শেষ সীমানায় এসে ‘ঝরা পাতা’র মর্মর ধ্বনীতে তিনি খোঁজে পেতেন, বিদায়ি কান্নার সুর। শুকনো পাতার সাথে নিজেকে গেঁথেছিলেন শেষ সময়কালে। অশ্রু ঝড়িয়েছিলেন নীরবে, যা বৃষ্টির শব্দে মিশে একাকার হয়েছিল। তবু কেউ জানেনি কেউ দেখেনি। এতো সাহস, এতো ধৈর্য ছিল তাঁর! কতো লুকুচুরি খেলে গেলেন একাই!

“কারা যেন হাসতে হাসতে মাড়িয়ে যায় শুকনো পাতা

ঝরাপাতা ও সেজে ছিল তার প্রিয়ার প্রয়োজনে,

আজ সে ঝরে গেল কারণ অকারণে,

তবে কেন তুমি নিরুদ্দেশ হবে?”

বয়স, রোগ শোক-তাপ-ই তো ছুঁড়ে দেয়! তিনি তা অনুধাবন করেছিলেন। তবু প্রেম ছিল মনে মানুষের জন্য, প্রকৃতির জন্যে, পৃথিবীর জন্যে। তাই তো পরিপাটি ফিটফাট থাকতেন। ভালো থাকার চেষ্টা করতেন। মানুষকে ভালোবাসতেন। তবু রাতের আঁধারে মনের বিষণ্ণতা উপেক্ষা করার উপায় ছিল কি? তাই তো বার বার নিজেকে প্রশ্ন করতেন, তবে কেন তুমি নিরুদ্দেশ হবে?

“মেঘ যাদের বাঁচতে শেখায়,

বাতাস তাদের ঝরায়

ঝরা পাতা বৃষ্টি ভেজা, ভেজা শালিকের ডানায়

আমিও হবো ঝরা পাতা, মুছে দেব সব ছায়াপথ

বৃষ্টি ভেজাবে মর্মরে পাতা, কুয়াশায় নেবে শপথ।

তবে কেন তুমি নিরুদ্দেশ হবে?”

অবশেষে নিরুদ্দেশ হলেন। মুছে দিয়ে গেলেন সব ছায়াপথ। রেখে গেলেন মায়াটুকু মানুষের মনে, যা নিরুদ্দেশ হবার নয়। সবকিছু যে নিরুদ্দেশ হয় না! হতে নেই।

“মৃত্তিকার অতলে বসবাস”-লিখেছিলেন আবদুস শহীদ-

“আমার কোন বাড়ি নেই

যে গৃহে আমার বসবাস

আজ কিংবা আগামীর আহবানে

যেখানে বাড়ি পাবো, সেখানেই হবো পরবাসী।”

তিনি শুয়ে আছেন মৃত্তিকার অতলে। আমরাও একদিন সেখানেই পরবাসী হবো। মাটি চাপা দিয়ে যে যার অবস্থানে ফিরে যাবেন। কেউ আবারো রান্না ঘরে উনুন জ্বালাবেন, কেউ রাত জেগে কাঁদবেন। কেউ পথ হারাবেন, কেউ নতুনের সন্ধান করবেন। বসন্ত আসবে ঘুরেফিরে, পাখিরা ডানা ঝাঁপটাবে ফোয়ারায়। কেউ শীতে ক্যাপাচিনোতে চুমুক দিবে, কেউ পথে কাগজে মোড়া শরীরটাকে উষ্ণতা দিবে। শুধু আমরা যেখানে শুয়ে থাকবো, সেখানো এই পৃথিবীর কোনো আলো থাকবে না। এটাই সত্য। তাঁর গল্পগুলোতেও আমরা দেখতে পাই, বাস্তবিক ঘটনা চিত্র। তিনি বিশ্বাস করতেন, কেবল কল্পকাহিনি একজন গল্পকারকে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। সেখানে থাকতে হবে বাস্তবতা, মানুষ, সমাজ, রাষ্ট্রের দৃশ্যচিত্র। তিনি সর্বস্তরের মানুষকে ভালোবাসতেন। বিষ-রিষ মাড়িয়ে তিনি পৃথিবীকে দেখতেন খোলা চোখে যেখানে সুন্দর ও সৌহার্দ বাস করতো মানুষের অন্তরে। তিনি বিশ্বাস করতেন, ‘মানুষে মানুষে আকাশ বিনিময় করলে, ভালো থাকে মাটির মায়া।’

এই ‘আকাশ’ তাঁর কাছে ছিল একটি উন্মুক্ত মন, উদারতার প্রতীক। আর ‘মাটির মায়া’ ছিল-ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গোষ্ঠীর বিভাজন পেড়িয়ে ঐক্যতা, সম্পৃক্ততা ও মিলনের প্রতীক। মানুষ হিসাবে তাঁর বিনয়ী, নম্র স্বভাবের আচরণের কথা সবাই জানেন। সহনশীলতার উচ্চে পৌঁছে ধরে রাখার চেষ্টা করতেন তিনি কমিউনিটির মানুষদের সাথে সম্পর্কের ভিত। নিরুপদ্রব মানুষটি ছিলেন সবার প্রতি উদার, কেবল ভালো না লাগার জায়গাগুলো থেকে সরে আসতেন নীরবে, কোন ঝঞ্ঝাট ছাড়াই।

মনে পড়ে ২০১৯ সালের বইমেলার কথা। প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার স্টলে আমার উপন্যাস “বিনু” ছিল। শহীদ ভাই ৩টি বই বিক্রি করেছিলেন। সে মূল্য আমাকে দিতে ভুলে গিয়েছিলেন। ঠিক এক বছর পর, সেকথা তাঁর মনে পড়ল। তিনি আমাকে কল করে বললেন, রিতা! তোমার বইয়ের টাকা দেয়া হয়নি। ভুলে গিয়েছিলাম। আমি বললাম, আপনি রেখে দিন। তিনি বললেন, না না! তোমাকে বই মূল্য দিতে হবে। তারপর একদিন দেখা হলো কোন এক অনুষ্ঠানে, তিনি আমাকে বই মূল্য পরিশোধ করলেন। এমনই সৎ একজন মানুষ ছিলেন তিনি।

শহীদ ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার মাধ্যমে। করোনা মহামারীর আগে প্রতি বৃহস্পতিবার আমরা একত্রিত হতাম প্রথম আলো অফিসে। সেখানে গেলেই দেখতাম, চুপচাপ শান্ত স্বভাবের মানুষটা বসে আছেন অফিসের এক কোনে একটি চেয়ারে। স্নেহের সাথে খোঁজ নিতেন আমার। একটা সময় আমি “এডাল্ট অনসেট স্টিলস্” ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে লং আইল্যান্ড নর্থ শোর হাসপাতালে এডমিট হই। একুশদিন ছিলাম চিকিৎসায়। সে সময়টাতে শহীদ ভাই আমাকে দেখতে আসেন প্রথম আলোর ‌অন্যান্যদের সাথে। এরপর যখন লিভার ফেইলিউর হয়ে আমি লাইফ সাপের্টে চলে যাই, এবং লড়াই করে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে বেঁচে ফিরে আসি, তখন থেকেই আমার প্রতি তাঁর স্নেহ মমতা যেন আরো বেড়ে যায়। সেই থেকেই আমাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।

শহীদ ভাই প্রায় সময়ই আমাকে কল করতেন, আমিও করতাম। আমাকে প্রায় সময় নিজের লেখাগুলো পাঠাতেন। লেখাগুলো পড়তে বলতেন। ফোন কলে আমরা কথা বলতাম, কখনো গল্প কবিতা নিয়ে, কখনো শারীরিক সঙ্কট নিয়ে। এক সময় জানতে পারি, তিনিও লিভার সংক্রান্ত কিছু সঙ্কটে আছেন। পরামর্শ দিতাম। ভালো থাকার উপায় খোঁজতাম দু’জনেই। সেই সব কথাই আজ মনে পড়ে। মনকে কাঁদায়।

আবদুস শহীদ। তাঁর প্রতিটা কবিতার সাথে আমি পরিচিত। প্রায় ‌অনেক কবিতা প্রকাশের আগে আমি পড়েছি ইনবক্সে। আমাদের আলাপ হতো এসব নিয়ে। তাঁর দুটো অপ্রকাশিত বই রয়ে গেছে যা এ বছর বের হবার কথা ছিল। “জলে জ্যোৎস্নায় জলোচ্ছ্বাস এবং জীবন পুণানের কথকতা।” বন্ধু মহলে জেনেছি, প্রকাশক প্রতারণা করেছেন। ‌অত্যন্ত দুঃখজনক। বইগুলো প্রকাশ হওয়া দরকার। জানি না তিনি পাণ্ডুলিপি কাকে পাঠিয়েছিলেন কিংবা কোথায় সংরক্ষণ করেছিলেন। তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি এ নিয়ে। আশাকরি তাঁর পরিবার প্রকাশ করবেন। কিংবা আমাকে সাহায্য করবেন ‌আবদুস শহীদ ভাইয়ের অসমাপ্ত কিছু কাজ সম্পন্ন করার জন্য।

তাঁর শেষ কবিতা আমি রেখেছিলাম উত্তরের সাহিত্য পাতায়, “ন্যাংটা কান্নার সেই দিন”- যা আজ “এইদিন” হয়ে আমাদের কাঁদায়।

ন্যাংটা কান্নার সেই দিন

আবদুস শহীদ

নবান্নের দিন এলে তোমায় নিয়ে যাবো

শস্যের পদাবলী দেখতে দূরের কোন ধানক্ষেতে।

মুহূর্ত কালক্ষেপণে তুমি তাকিয়ে থাকবে দূরের জলাশয়ে, যেখানে দিনান্তের গোধূলিতে চিকচিক করে

কুয়াশা বিশ্রিত জলরাশি।

হিসেব মিলাতে থাকবে আজ অবধি যে বয়েস হারিয়ে

এসেছো, আর আমি খুঁজবো বাল্যকালের মার্বেল

হারানোর ন্যাংটা কান্না।

কখনও বা মনে হয় জীবনটা এক রগচটা কবিতার পংক্তি

সর্বনাশের স্বপ্নে মেশানো সুধা চমচম।

কখনও আড়ি পেতে শুনি জীবনের নস্টালজিয়ার কথা

জীবনের সবটুকু যেন আর সোনালী সূর্যের

আলোকচ্ছটা নয়,

এখন শুধু বিষণ্ণ প্রান্তর,ধূসর জমিন, নুয়ে পড়া সত্তরের নিরেট মন্বন্তর, বসন্তের বিলাপ।

আমরা আবার খুঁজে নেব সেই সব দিন, যা ঝড়-বৃষ্টি

রোদে ভরা হে

এসএ/এমএএস/এমউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন